Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Ankush Hazra

‘যারা ট্রোল করে, তারাই সবার আগে সেলফি তুলতে ঝাঁপায়’, কড়া জবাব অঙ্কুশের

বরুণ ধওয়নের জন্য বেকড রসগোল্লা নিয়ে গিয়েছিলেন অঙ্কুশ। কলঙ্কের ‘বেয়ার বডি’ শুট থাকায় খাননি বরুণ। অঙ্কুশ বরুণকে বেকড রসোগোল্লা অফার করেছেন—চাউর হতেই ট্রোলে ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। জবাবে একহাত নিলেন অঙ্কুশ। মন খুলে কথা বললেন আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে। বরুণ ধওয়নের জন্য বেকড রসগোল্লা নিয়ে গিয়েছিলেন অঙ্কুশ। কলঙ্কের ‘বেয়ার বডি’ শুট থাকায় খাননি বরুণ। অঙ্কুশ বরুণকে বেকড রসোগোল্লা অফার করেছেন—চাউর হতেই ট্রোলে ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। জবাবে একহাত নিলেন অঙ্কুশ। মন খুলে কথা বললেন আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে।

অঙ্কুশ এবং বরুণ।

অঙ্কুশ এবং বরুণ।

বিহঙ্গী বিশ্বাস
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:১৪
Share: Save:

ফোন তুলতেই একচোট হাসি। “প্রতিক্রিয়া? কাদের কথায়? যাদের কোনও কাজ নেই! কেন দেব তাদের এত পাত্তা? কারা ওরা? ভিড়ের মধ্যে সেলফি তোলার জন্য সবচেয়ে বেশি ঝাঁপায় কারা জানেন? ওই সব তথাকথিত ট্রোলাররা”—বক্তা অঙ্কুশ হাজরা। হঠাৎ করেই তাঁর পুরনো সাক্ষাৎকারের একটি লাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং।

‘বরুণকে (ধওয়ন) বললাম, একমাস অনেক দেরি, বেকড রসগোল্লা কেউ ফেলে রেখে খায় না কি’?—বর্ধমান থেকে উঠে আসা একটি ছেলে বলি সেলেবকে বেকড রসগোল্লা অফার করছে, তুই-তোকারি করছে হজম হয়নি নেটাগরিকদের। ফলাফল, ফেসবুকের দেয়ালে ছেয়ে যাওয়া মিম, ট্রোল, ইত্যাদি। ওই সব ‘নেই কাজ তো খই ভাজ পাবলিক’-দের পাত্তা দিতে চান না অভিনেতা। বললেন, ‘দে জাস্ট নিড আ টপিক। মুখোশের আড়ালে এরা লিখতে ভালবাসে। যখন পাব্লিক শো-গুলো করি এরাই কিন্তু সবার আগে এসে বলে, অঙ্কুশ দা একটা সেলফি প্লিজ! আজ প্রিয়ঙ্কার ড্রেস, কাল অঙ্কুশ, পরশু বাগি-৩-এর ট্রেলার নাকি ওয়ান্ডার উওম্যানের কপি, তাই নিয়ে গসিপ—এদের দৌড় এতটুকুই।”

আরও পড়ুন-আমাদের ভালবাসার বিয়ে, কিন্তু আজ মধুমিতার সঙ্গে কথা হয় না: সৌরভ

দীর্ঘ ছয় মাস মুম্বইতে কাটিয়েছেন অভিনেতা। সেলিব্রিটি ফিটনেস ট্রেনার প্রশান্ত সাওয়ান্তের কাছে নিয়েছেন প্রশিক্ষণ। শাহরুখ, অভিষেক, বরুণ সহ তাবড় বলি সেলেবদের ট্রেনার প্রশান্ত। সেই সূত্রেই বরুণের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন প্রশান্ত নিজেই, জানালেন অঙ্কুশ। তাঁর কথায়, “বরুণ ইজ ভেরি মাচ ডাউন টু আর্থ। যখন জানল আমরা একই ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত সহজ ভাবে আমায় গ্রীট করেছিল। ছয় মাস একই জিমে একই সঙ্গে ওয়ার্ক আউট—একটা ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠা কি স্বাভাবিক নয়? ওই সব ফ্রাস্ট্রেটেড লোকেরা জানে এসব কিছু? আমারও তো জানানোর কোনও দায় নেই। কেন জানাব? কে ওরা? যদি আমার শো-অফ করতেই হত তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বরুণের সঙ্গে গলা জড়িয়ে পোস্ট দিতাম। করিনি। প্রয়োজন মনে করিনি।”

কথা প্রসঙ্গেই সেই সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেছিলেন তিনি, ‘ক্যাজুয়ালি’। “ওরা ভীষণ বাচ্চা, কোনও ম্যাচোরিটি নেই। ওরা চায় এই ফুটেজগুলো পেতে। লক্ষ্য করলে দেখবেন, এদের বেশির ভাগ টিনেজার। কমেন্ট সেকশন গুলো দেখবেন, যাকে নিয়ে ট্রোল হচ্ছে, কেউ যদি তার হয়ে কিছু বলে বাবা-মা টেনে এনে এমন এমন কথা বলবে সেই ব্যক্তি চুপ করে যেতে বাধ্য হবে”, বললেন অঙ্কুশ। এখন যোগাযোগ নেই তাঁর বরুণের সঙ্গে। কিন্তু একটা সময় যে সত্যি তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল, সে কথা আলাপচারিতায় বারেবারেই উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন-কেন ব্রেক আপ হয়েছিল শাহিদ-করিনার? করিনা বললেন...

স্টার হওয়ার সুবাদেই কুরুচিকর মন্তব্য তাঁর কাছে নতুন নয়। শেয়ার করলেন বেশ কিছু দিন আগের একটি ঘটনা। বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। খাবার পরিবেশন করতে গিয়ে এক জন কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন তাঁকে। হাসতে হাসতে অভিনেতা বললেন, “তার পর যেটা হল সেটা আরও মজার। আমার খাওয়া দাওয়া শেষ হবার পর বাকিরা আমার সেলফি তুলতে এলেও দেখলাম সেই ব্যক্তি দূরে দাঁড়িয়ে, পরে অবশ্য নিজেই এগিয়ে এলেন। আলাপ করলেন, সেলফির আবদারও করলেন।”—এই ঘটনার মাধ্যমেই অঙ্কুশ বুঝিয়ে দিলেন এগুলো সাময়িক। স্টার হিসেবে এতে এত রিয়েক্ট করারই বা কী আছে?

বর্ধমান থেকে উঠে আসা একটি ছেলে নিজের যোগ্যতায় টলিপাড়ায় জায়গা করে নিয়েছে। টলিউডের কোনও নায়কের যে বলিপাড়ার হার্টথ্রবের সঙ্গে বন্ধুতা থাকতে পারে, মেনে নিতে কি সত্যিই কষ্ট হচ্ছে আমাদের? পাত্তা দিতে চান না অঙ্কুশ, একেবারেই। সামনে তাঁর লম্বা কাজের লিস্ট। কথায় বলে না, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে...’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE