চরিত্রের মধ্যে ঢুকতে নাকি তারকাদের আত্মত্যাগ করতে হয়। দিনের পর দিন সেই চরিত্রের সঙ্গে যাপন করতে হয়। এটাই নাকি ‘মেথড অ্যাক্টিং’য়ের মন্ত্র। সম্প্রতি ‘রামায়ণ’ ছবিতে রামের চরিত্রে অভিনয় করছেন বলে মদ ছেড়েছেন রণবীর কপূর। মাংসও ছুঁয়ে দেখছেন না অভিনেতা। এ বার রণবীরের পথেই হাঁটলেন অনুপম খের। গত এক বছর ধরে মদ-মাংস সব ত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি বড় পর্দায় মহাত্মা গান্ধী হয়ে উঠতে চান। বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস্’-এ অনুপমকেই দেখা যাবে মহাত্মা গান্ধীর চরিত্রে।
এই প্রসঙ্গে অনুপম বলেন, ‘‘মহাত্মা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করা যে কোনও অভিনেতার কাছে স্বপ্নের মতো। এই ভূমিকার জন্য আমাকে এক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। ওজন কমিয়েছি, এই সিনেমায় গান্ধীর চরিত্রকে আত্মস্থ করার জন্য আমি গত এক বছর ধরে, বলতে গেলে প্রায় অগস্ট মাস থেকে নিরামিশাষী হয়েছি এবং মদ্যপান বন্ধ করে দিয়েছি।’’
আরও পড়ুন:
‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ ছবির সাফল্যের পরেই ‘দ্য দিল্লি ফাইল্স’ ছবিটির ঘোষণা করেছিলেন বিবেক। কিন্তু, কাজ এগোনোর আগেই ছবি নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করলেন পরিচালক। দিল্লির গল্প নয়, আগে বাংলাকে নিয়ে ছবি বানাবেন তিনি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে ঘটা সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিয়ে ছবিটি তৈরি করতে চেয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু এই ছবির জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বাংলার ইতিহাস সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পেরেছেন, এমনই দাবি বিবেকের। এক্স হ্যান্ডলে বিবেক লিখেছিলেন, ‘‘এই ছবিতে বাংলায় হিংসার ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বিগত ছ’মাস ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছি। বাংলা এমন একটা রাজ্য, যা দু’বার বিভক্ত হয়েছে। স্বাধীনতা-পূর্ব এবং স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে একাধিক গণহত্যা হয়েছে।’’
বিবেকের মতে, স্বাধীনতার পর দেশে মূলত দ্বিজাতিতত্ত্ব নিয়ে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু, বাংলায় বিরোধের কেন্দ্রে এরই পাশাপাশি কমিউনিজ়ম এবং নকশাল আদর্শও দেখা দেয়। বিবেকের কথায়, ‘‘ফলাফল হিসেবে পড়ে ছিল শুধুই বামপন্থা। বাংলার মতো এতখানি রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় হিংসার সাক্ষী অন্য কোনও রাজ্যকে হতে হয়নি। এখনও বাংলায় বিভাজন অব্যাহত।’’ এই ছবিতে অনুপম খের ছাড়াও রয়েছেন পল্লবী জোশী-সহ একাধিক অভিনেতা। টলিপাড়ার শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ দাসদের দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে।