সম্পর্ক নিয়ে কোনও রাখঢাক করেন না অনুষা বিশ্বনাথন ও আদিত্য সেনগুপ্ত। টলিপাড়ায় তাঁদের সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। সমাজমাধ্যমেও নিজেদের প্রেমের মুহূর্ত তুলে ধরেন স্বচ্ছন্দেই। দু’জনের পরিবারও তাঁদের সম্পর্কের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। তা হলে কি এ বার এই সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পালা?
টলিপাড়ায় গুঞ্জন, খুব শীঘ্রই নাকি চারহাত এক করার পরিকল্পনা অনুষা ও আদিত্যের। আগামী বছরের শুরুতেই নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসবে এই জুটি। তবে এই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই অনুষা হাসতে হাসতেই জানান, “আমাকে এটা অনেকেই জিজ্ঞাসা করে, আমি কি বিয়ে করছি! কিন্তু আমি কি বলেছি যে আমি বিয়ে করছি? আমাদের দু’জনের কেউই বলিনি, আমরা বিয়ে করছি।”
অনুষার ধারণা, সম্পর্ক নিয়ে তিনি ও আদিত্য দু’জনেই খুব স্বচ্ছ। তাই লোকজন ভাবে, তাঁরা বিয়ে করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুত। অভিনেত্রী বলেন, “আসলে বিনোদন জগতে সম্পর্ক নিয়ে সচরাচর এত স্বচ্ছ ভাবে কেউ থাকে না। আমরা নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে বলি। আমার ও আদিত্যের মনে হয়েছিল, লুকিয়ে প্রেম করার তো কোনও কারণ নেই। আমরা সম্পর্কে যাওয়ার আগে অনেকটা সময় নিয়েছিলাম। তাই এই সম্পর্ক আমরা অনেক ভেবেচিন্তে তৈরি করেছি। তাই এই সম্পর্ক লুকনোর কোনও কারণ আমরা খুঁজে পাইনি।”
আরও পড়ুন:
সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েও কথা বলেন অনুষা। প্রেমের সম্পর্কে ঝগড়া, মান অভিমান নিয়ে নানা প্রচলিত কথা রয়েছে। কিন্তু অনুষা জানান, আদিত্যের সঙ্গে নাকি তেমন ঝগড়াই হয় না তাঁর। কখনও কখনও নাকি আদিত্য ইচ্ছে করে ঝগড়া করার চেষ্টা করেন। অভিনেত্রীর কথায়, “আদিত্য ইচ্ছে করে ঝগড়া করার চেষ্টা করে। ও আক্ষেপ করে বলে ‘তুই তো ঝগড়াই করিস না। মনোরঞ্জনের জন্য তো ঝগড়া কর’।”
কিন্তু অন্য যুগলদের মতো ঝগড়া হয় না কেন তাঁদের মধ্যে? কী ভাবে এই বোঝাপড়া? অনুষা বলেন, “আসলে আমাদের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে সমস্যা হলে আমরা পরস্পরের কাছে ক্ষমা চাইতে দেরি করি না। আমরা কোনও কিছু টেনে নিয়ে যেতে পারি না। কিছু হলেই আমাদের দু’জনের উদ্বেগ হতে থাকে। আর আমি দ্রুত কথা বলে মিটিয়ে নিতে পছন্দ করি। আমি নিজেকে চিনি। কোনও কিছু চেপে রাখলে বিষয়টা আমার মধ্যে জমতে থাকে। তাই কথা বলে মিটিয়ে নিই।”
প্রত্যেকের জীবনে চাপানউতোর থাকে। রোজকার জীবনে নানা পরিস্থিতিতে সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু সেই রাগ সঙ্গীর উপর উগরে দেওয়া একেবারেই ঠিক নয় বলে মত অনুষার। তিনি বলেন, “আসলে আমরা দু’জনেই দেখি, যাতে পরস্পরকে ‘পাঞ্চিং ব্যাগ’ হিসেবে ব্যবহার না করে ফেলি। তাই রাগের মাথায় এমন কিছু বলি না, যা মনে আঘাত করতে পারে।”