রাজেশ খন্না থেকে বিনোদ খন্না— সে যুগের নায়কদের বিরুদ্ধে তাঁদের বহু সহকর্মীর একটাই অভিযোগ ছিল। কোনও নায়কই সময় শুটিংয়ে আসেন না। শোনা যায়, এই কারণে সঞ্জীব কুমারের উপর রেগে সেট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। একই ভাবে ভুক্তভোগী অর্জুন কপূরের দিদা সত্তী শৌরী। কী ঘটেছিল?
অর্জুন এবং অংশুলা কপূরের দিদিমা সত্তী। তাঁকে মাত্র তিনটি ছবিতেই দেখেছে দর্শক। ১৯৯১ সালে ‘ফরিস্তে’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় হাতেখড়ি তাঁর। যে ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন বিনোদ খন্না। প্রথম ছবিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানিয়েছিলেন সত্তী। জানান, বিনোদের সঙ্গে কাজ করতে গেলে ইস্পাতের মন আর পাথরের শরীর তৈরি করার দরকার।
সত্তী বলেছিলেন, “কোনও দিনও সময়ে আসতেন না। সকাল থেকে সেটের সবাই তাঁর অপেক্ষায়। দুপুর ২টৌয় আসতেন। বিকেল ৪টেয় চলে যেতেন। এত ঘণ্টা অপেক্ষার কত মূল্য তিনি কি বুঝতেন না? প্রযোজকদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে এই কারণে। এই ধরনের অভিনেতাদের কোনও দিন কাজে নেওয়াই উচিত নয়, বহিষ্কার করা উচিত।” যদিও খুব বেশি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়নি অর্জুনের দিদাকে।