‘‘আরিয়ান ফুটবল নিয়ে কথা বলেছে। মাদক নয়,’’ দাবি করলেন আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে।
যে হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের জেরে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নেহাতই ‘নির্দোষ’ ফুটবল নিয়ে ছিল বলে দাবি করলেন আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। বৃহস্পতিবার সরকারি আইনজীবী অনিল সিংহকে তিনি বলেন, ‘‘আরিয়ান ফুটবল নিয়ে কথা বলেছে। মাদক নয়। আপনি কি বলতে চান, আমি যদি চ্যাটে ফুটবল নিয়ে কথা বলি, তবে আমাকেও গ্রেফতার করা হবে?’’
আরিয়ানকে হেফাজতে নেওয়ার যুক্তি হিসেবে সোমবার মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালতে অনিল বলেছিলেন, ‘‘মাদকচক্রের মাথার সঙ্গে নিয়মিত হোয়াটস্যাপে যোগাযোগ ছিল আরিয়ানের। চ্যাটে কোনও সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই আরিয়ানকে হেফাজতে নেওয়া দরকার।’’ তারই জবাবে বৃহস্পতিবার মানশিণ্ডের প্রতিক্রিয়া। আরিয়ানের আইনজীবীর যুক্তি, ফুটবলকেও কি তবে সাংকেতিক ভাষা হিসেবে ধরা হবে!
দু’পক্ষের আইনজীবীর বিতণ্ডা বৃহস্পতিবার আরও বহু দূর গড়ায়। তারকাতনয়কে জেলে রাখা বনাম জেলের বাইরে রাখার লড়াইয়ে দুই আইনজীবীর ঝগড়া একনাগাড়ে চলে বেশ কয়েক ঘণ্টা। শাহরুখ ভক্তরা দাবি করেন, ‘বলিউড বাদশা’র সিনেমা আর কিছু না হোক, তিন ঘণ্টা দর্শককে হলে বসিয়ে রাখে। দেখা গেল, আদালত কক্ষে শাহরুখের ছেলের বিচার প্রক্রিয়াও চলল ঘণ্টার পর ঘণ্টা! এক সময়ে মানশিণ্ডে ‘গল্প শোনাচ্ছেন’ বলেও মন্তব্য করেন বিপক্ষের আইনজীবী। পাল্টা জবাবে বিরক্ত সতীশ বলে বসেন ‘‘আপনাদের ওই অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলই যথেষ্ট। বাকিরা দয়া করে চুপ করুন।’’
শেষপর্যন্ত যদিও মানশিণ্ডের বক্তব্য ধোপে টেকেনি। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অনিল পাল্টা যুক্তি দিলে মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালত শাহরুখ-পুত্রের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তত ক্ষণে আদালত চত্বরে মানশিণ্ডে বনাম অনিলের লড়াইও রীতিমতো ঝগড়াঝাঁটির আকার নিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy