শুক্রবার সিঙ্গাপুর সরকার প্রয়াত গায়ক জ়ুবিন গার্গের স্ত্রী গরিমা শইকীয়া গার্গের হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, স্কুবা ডাইভিং নয়, জলে ডুবে মারা গিয়েছেন গায়ক। অন্য দিকে, গায়কের মৃত্যুর কারণ এবং তার আগের পরিস্থিতি তদন্তের জন্য গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র শইকীয়ার নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মৃত্যুর পর গায়কের দুই বার ময়নাতদন্ত হয়েছে। সিঙ্গাপুর সরকারের পাশাপাশি তদন্ত করেছে অসম সরকারও। গায়কের মৃত্যু জলে ডুবে, এই তথ্য উভয় তদন্ত থেকে উঠে এলেও এখনও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর অজানা। ফলে, গায়কের মৃত্যুর আগে এবং পরে কী ঘটেছে, তা সবিস্তার জানা যাচ্ছে না। খবর, নবগঠিত কমিশন জ়ুবিনের মৃত্যুর কারণগুলির ক্রম নির্ধারণ করবে। তদন্তে কোনও ফাঁক বা ত্রুটি থেকে গিয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখবে।
এ ছাড়া, অসম পুলিশের একটি বিশেষ তদন্ত দল শ্যামকানু মহন্ত এবং সিদ্ধার্থ শর্মার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগেরও তদন্ত করছে। এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি সিআইডি স্পেশ্যাল ডিজিপি এমপি গুপ্ত।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, গায়কের দলের গ্রেফতার হওয়া সদস্য শেখর জ্যোতির থেকে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রয়াত শিল্পীর মৃগী ছিল। তার জন্য নিয়মিত ওষুধ খেতেন। সে কথা উল্লেখ করে স্ত্রী গরিমা কথাপ্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, জলের নীচে নাকি খিঁচুনি শুরু হয়েছিল গায়কের। এ খবর তাঁকে দিয়েছিলেন জ়ুবিনের আপ্তসহায়ক নিজেই। সেই সম্ভাবনাকেই কি উস্কে দিলেন গায়কের গানের দলের এক সদস্য শেখরজ্যোতি গোস্বামী? গায়কের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে অসম পুলিশ গ্রেফতার করেছেন তাঁকে। শনিবার অভিযুক্তের নতুন অভিযোগ, নৌকাবিহারের সময় জ়ুবিনের মুখ থেকে ফেনা বেরোচ্ছিল। সেটা দেখেও গায়কের আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মা প্রাথমিক চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাই করেননি! উল্টে গায়ককে ছেড়ে দিতে বলেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, যে নৌকোয় গায়ক এবং তাঁর সঙ্গীরা উঠেছিলেন সেখানে পানীয়ের ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলেন আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ। ফলে, পানীয়ে কিছু মিশিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। জোর গলায় এও দাবি করেছেন, জ়ুবিন খুব ভাল সাঁতারু ছিলেন। ফলে, জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে এটা শেখর মেনে নিতে পারছেন না। ঠিক যে ভাবে, গায়কের মৃত্যুর সময়কালের ভিডিয়ো প্রশাসন বা তাঁর পরিবারের হাতে তুলে না দেওয়ার নির্দেশ শুনে চমকে গিয়েছিলেন তিনি। শেখরের অভিযোগ, সিদ্ধার্থ দলের প্রত্যেককে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন।