যাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নারী-নির্যাতনের মতো অভিযোগ, তাঁরই কণ্ঠে সপ্তসুর! শনিবার বকরি ইদে তাঁর গান শুনে এমন প্রশ্ন ভেসে বেড়িয়েছে লৌহকপাটের অন্দরে। বাংলাদেশের খ্যাতনামী গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলের এ বছরের ইদ যাপন ঢাকা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। এ দিন তিনি গান শোনান সেখানকার অন্য আবাসিকদের। কখনও কণ্ঠে তাঁর প্রিয় গায়ক জেমসের ‘ভিগি ভিগি’। কখনও নিজের গান ‘অভিনয়’। মঞ্চে নোবেল গাইছেন আইয়ুব বাচ্চুর ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’। গানের কথা যেন শ্রোতাদের মনের কথা। তাঁরা তো এই গায়ককেই চিনতেন। তাঁর গান ভালবাসতেন। কী করে সেই মানুষ এত বদলে গেলেন?
২০২৫-এর এই ইদ ঢাকার সংশোধনাগারের ইতিহাসেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে অনেকের দাবি। নোবেলের গান থামতেই আবেগাপ্লুত কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক। তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সমস্ত বড় সংশোধনাগারেই এই ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অংশ নেন সংশোধনাগারের আবাসিকেরা। তাঁদের নতুন ভূমিকায় দেখে খুশি তাঁদের পরিবার-পরিজনেরাও। ইদের দিন বাংলাদেশের সময়ানুযায়ী বিকেল সাড়ে তিনটেয় জলসা বসে। নোবেল ছাড়াও গান শোনান বাকি আবাসিকেরাও। নিমেষে বদলে যায় সংশোধনাগারের পরিবেশ।
আরও পড়ুন:
নিজের ছাত্রীকে সাত মাস ধরে একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ গায়কের বিরুদ্ধে। তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও নোবেলের আইনজীবী অভিযোগকারিণীকে নোবেলের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। কিন্তু আদালতে বিয়ের কোনও প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি নোবেল। ১৯ মে থেকে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে দিন কাটছে গায়কের।