পরীমণি করতে পারেন না হেন কাজ বোধহয় নেই! তিনি অভিনয় করতে পারেন। একা হাতে দুই সন্তানের দেখভাল করতে পারেন। যে কোনও ‘সাহসী’ কাণ্ড ঘটিয়ে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হতে তাঁর দু’মিনিটও লাগে না। সেই তিনিই সন্তানসম্ভবা মায়েদের কথা ভেবে পোশাক বানানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে চর্চিত, বিতর্কিত নায়িকা শনিবার বকরি ইদের দিন আরও একটি ‘কাণ্ড’ ঘটালেন। দলবল নিয়ে নিজের বাড়িতে নিজেই চুরি করলেন!
পরীর বাড়ি বহুমূল্য জিনিস দিয়ে সাজানো। নিজেই সেই সব পছন্দ করে কিনে এনে বাড়ি সাজিয়েছেন। সেখান থেকে কী চুরি করলেন তিনি? নিজের বাড়ি থেকে কেনই বা চুরি করার প্রয়োজন পড়ল তাঁর! তা-ও আবার বিশেষ দিনে। সেই চুরির ভিডিয়ো তিনি নিজে তুলেছেন। সেটি আবার তাঁর সমাজমাধ্যম থেকেই ভাইরাল। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার ডট কম খতিয়ে দেখেনি।
আরও পড়ুন:
সেই ভিডিয়োয় নায়িকা নিজেই জানিয়েছেন,তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁর নানার বাড়িতে। পরীমণি পরিবারের সকলকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে। নিজে হাতে মাংস বিলিয়েছেন সকলের মধ্যে। প্রতি বছর ইদে তিনি নিজের হাতে ‘কুরবানি’র মাংস বিলি করেন সাধারণের মধ্যে। সারা দিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকার পর রাতের অন্ধকারে ঢুকে পড়েছেন নানার ফলের বাগানে। সেখানে বড় বড় আম, জামরুল, কাঁঠাল ফলেছে। এ সব লোভনীয় ফল দেখে আর কী করে সামলান নিজেকে? তাই নিজেই গাছে উঠে পড়েন। কারণ, গাছ থেকে নিজের হাতে ফল পাড়ার আনন্দই আলাদা।
পরী নিজের হাতে পেড়েছেন আম, জামরুল। তাঁরই এক শাগরেদ তুলে এনেছেন কাঁঠাল। তাঁর প্রয়াত নানা শামসুল হক গাজীর বাগানে ঢুকে এ ভাবেই ‘দৌরাত্ম্য’ চালিয়েছেন। নিজেরাই আনন্দের চোটে হাসিতে গড়িয়ে পড়েছেন। আচমকা ছেলেবেলা ফিরে পেয়ে প্রত্যেকেই খুশি। সে কথা প্রকাশ পেয়েছে পরীর একটি মন্তব্যে। ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এই যে জীবনের এত সুন্দর স্মৃতিগুলো, সব কি আর মলিন হয়ে যায়!’