Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Behind the Scene

ফিরেছে সত্যজিতের ‘গ্রেট ম্যাজেস্টিক সার্কাস’, তার নেপথ্য কাহিনি

আড্ডাটাইমস থেকে শেয়ার হওয়া ভিডিয়ো ক্লিপিং দেখিয়েছে, সার্কাসের তাঁবুতে টিম ‘ফেলুদা’।

‘ফেলুদা ফেরত’

‘ফেলুদা ফেরত’

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৪৮
Share: Save:

১৯৭৫ সালের গ্রেট ম্যাজেস্টিক সার্কাস ২০২০-র শীতে! টাইম মেশিন ছাড়াই কিন্তু এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। এবং তোপসে, লালমোহনবাবুকে নিয়ে সার্কাসের তাঁবুতেও গিয়েছেন ফেলুদা।

কী করে ফিরে এল অতীত?

নস্ট্যালজিয়া ফিরেছে আড্ডাটাইমসের ‘ফেলুদা ফেরত’ সিরিজের হাত ধরে। ফিরিয়ে এনেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। কী ভাবে ফিরেছে, সেটাই ফাঁস করলেন ‘তোপসে’ ওরফে কল্পন মিত্র।

আড্ডাটাইমস থেকে শেয়ার হওয়া ভিডিয়ো ক্লিপিং দেখিয়েছে, সার্কাসের তাঁবুতে টিম ‘ফেলুদা’। তাঁবুর বাইরে এক পাশে উটপাখি ঘুরছে। কল্পন জানিয়েছেন, পুরনো সার্কাসের তাঁবুর ভোল বদলে রিক্রিয়েট করা হয়েছিল গ্রেট ম্যাজেস্টিক সার্কাসকে।

আরও পড়ুন: তারাদের সঙ্গে কথা বলতেন ইরফান, স্মৃতির পাতা ওল্টালেন সুতপা

কী ভাবে? প্রথমত, তাঁবুর মাথা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এখনকার ছবি। জ্বলজ্বল করছিল ফেলুদার স্রষ্টার আমলের সার্কাসের নাম। দ্বিতীয়ত, এখনকার টিকিটের দামের উপর লিখে দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৫, ’৮০ সালের টিকিটের দাম। তৃতীয়ত, কারান্ডিকারের ঘর বা তাঁবুর ভোল বদলে দেওয়া হয়েছিল সাতের দশকের মতো করে।

A post shared by Addatimes (@addatimes)

চার বার জাতীয় পুরস্কারজয়ী কি পারলেন সত্যজিৎ রায়ের তৈরি করে যাওয়া ঘরানাকে ছুঁতে? টোটা কি পারলেন সবাইকে ছাপিয়ে নতুন কোনও দৃষ্টান্ত তৈরি করতে? ‘জটায়ু’র সঙ্গে চেহারার সাদৃশ্য কি অভিনয়েও অনেকটা এগিয়ে রেখেছিল অনির্বাণকে? মুক্তির আগে এই প্রশ্নগুলোই যেন বেশি করে ঘুরপাক খেয়েছে টিম ‘ফেলুদা ফেরত’-এর চারপাশে।

আরও পড়ুন: বিশ্ব ফ্যাশনের মুখ বদলে দেওয়া ডিজাইনার পিয়ের কার্দাঁ প্রয়াত

‘ফেলুদা ফেরত’ দেখে দর্শক প্রতিক্রিয়া, সিরিজ়ের আগাগোড়া মূল গল্পের প্রতি অনুগত থেকেছেন পরিচালক। গল্পটি যাঁদের পড়া, তাঁরা বুঝতে পারবেন, সংলাপও অনেকটাই বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা। সার্কাস ও বাঘ— এই গল্পের প্রাণভোমরা। বাজেটের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, সিজিআই এফেক্টস-এ তৈরি বাঘ দেখতে মন্দ লাগেনি। হাজারিবাগের বাংলোর বাইরে প্রথম বার ফেলুদা-বাহিনী যখন বাঘের ডাক শুনতে পায়, তখন পর্দায় বাঘ দেখানো হয়নি। এ দিকে রাতের অন্ধকারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তীব্র হতে থাকে প্রাণীটির গর্জন। ফ্রেমটিও পর্দাজুড়ে ক্রমশ জুম আউট হতে থাকে।

সিরিজের অন্যতম সেরা দৃশ্য এটি! পাশাপাশি, পরিচালকের পরিমিতিবোধের উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। পুরো সিরিজেই এই নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন সৃজিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Behind the Scene Feluda Ferot webseries
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন
Advertisement

Share this article

CLOSE