দ্বন্দ্বে ইতি, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিক ছাড়লেন দিতিপ্রিয়া! নতুন নায়িকা কে?

‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর ভবিতব্য অবশেষে নির্ধারিত। বিস্তর টালবাহানার পর ধারাবাহিক ছেড়ে দিলেন দিতিপ্রিয়া রায়। আর্টিস্ট ফোরাম থেকে আনন্দবাজার ডট কম-কে জানানো হয়েছে, নায়ক-নায়িকার দ্বন্দ্ব এত দূর গড়াবে, কেউ ভাবেননি।

দফায় দফায় জীতু কমল-দিতিপ্রিয়ার মধ্যে কলহ। দফায় দফায় তার রফাসূত্র খুঁজতে বৈঠক। প্রযোজনা সংস্থা, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বার বার মীমাংসার চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না! দ্বিতীয় দফায় অশান্তির শুরু থেকেই টেলিপাড়ায় গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, হয় জীতু নয় দিতিপ্রিয়া ধারাবাহিক ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চাইছেন।

সেই গুঞ্জন সত্যি করে সোমবার আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে কোষাধ্যক্ষ সোহন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রবিবারেও যখন দিতিপ্রিয়া তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানাননি, তখনও আশা করেছিলাম ইতিবাচক কিছু হলেও হতে পারে।” কিন্তু সেটা হয়নি। সোমবার দিতিপ্রিয়া ইন্ডাস্ট্রির নিয়ম মেনে লিখিত ‘এনওসি’ বা অনাপত্তিপত্র দিয়ে ধারাবাহিক ছেড়ে দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানান। আর্টিস্ট ফোরাম যদিও প্রযোজনা সংস্থাকে আবেদন জানিয়েছে, ধারাবাহিক যেন কোনও ভাবে বন্ধ না হয়। কারণ, এর সঙ্গে অনেক মানুষের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে।

ঠিক কী কারণে ধারাবাহিক ছাড়লেন দিতিপ্রিয়া? জীতুর সঙ্গে তাঁর সংঘাত কী কারণে? প্রশ্নের জবাবে সোহন বলেছেন, “যখনই নায়ক-নায়িকার মনোমালিন্যের কথা প্রকাশ্যে এসেছে তখনই সমাজমাধ্যমে জীতুর অনুরাগীরা নায়িকাকে কটাক্ষে বিঁধেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে একই ঘটনা ঘটায় মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী, অভিনয় করতে পারছেন না। সেই কারণেই ধারাবাহিক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার এই ধারাবাহিক দিয়ে অনেক দিন পরে ছোটপর্দায় একসঙ্গে ফিরেছিলেন জীতু-দিতিপ্রিয়া। তাঁদের রসায়ন কতটা জমবে, তা-ই নিয়ে শুরুতে চর্চা হলেও উভয়ের অভিনয় সেই চর্চায় জল ঢেলে দিয়েছিল। দ্রুত ধারাবাহিকটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। নায়ক-নায়িকার রসায়ন দর্শককে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ দেখতে আগ্রহী করে তোলে। তাতে বিরাট ছন্দপতন ঘটল। কী বলবেন জীতু? প্রশ্ন নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি সাড়া দেননি।

একই ভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি দিতিপ্রিয়ার তরফ থেকেও। ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। হোয়াট্‌সঅ্যাপে পাঠানো বার্তারও উত্তর দেননি।

জানা গিয়েছে, সাধারণত ইন্ডাস্ট্রি এবং ফোরামের নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে দু’মাসের নোটিস কাজ ছাড়তে পারেন অভিনেতা। দিতিপ্রিয়া তাঁর অপারগতা জানিয়ে সেই সময়সীমা কমিয়ে ১৫ দিন করার অনুরোধ জানান। তাঁর সেই অনুরোধও মেনেছিল সংগঠন এবং প্রযোজনা সংস্থা। রবিবার তিনি জানান, শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার জেরে তিনি অভিনয়ে যোগ দিতে পারছেন না। সেই সূত্রেই ইতিমধ্যে দিতিপ্রিয়ার জায়গায় নাকি উঠে আসছে একাধিক নায়িকার নাম। তালিকায় সৌমিতৃষা কুণ্ডু, প্রত্যুষা পাল-সহ অনেকেই রয়েছেন। এ-ও শোনা যাচ্ছে, একদম নতুন মুখকেও নায়িকা হিসাবে ধারাবাহিকে নিয়ে আসতে পারে প্রযোজনা সংস্থা।