পর্দায় কোনও দৃশ্যকে জীবন্ত করে তুলতে অভিনেতাদের এমন অনেক কিছু করতে হয়, যা তাঁদের সাধ্যের বাইরে। বলিউডের এক অভিনেতা একবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সাঁতার না জানা সত্ত্বেও জলে ঝাঁপ দিতে হয়েছিল তাঁকে। এ বার এমনই এক ঘটনা ঘটল অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতির সঙ্গে। ‘জোয়ার ভাঁটা’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিতে হয়েছিল তাঁকে। সেই অভিজ্ঞতা শোনালেন অভিনেত্রী।
ঝাড়গ্রামের মেয়ে আরাত্রিকা। ছোটবেলায় কোনও দিন নাগরদোলায়ও চাপেননি। উচ্চতায় ভয় আছে, তেমন নয়। কিন্তু, তিনতলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কথা শুনে ভয় পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। আরাত্রিকা জানালেন, হাত-পা কাঁপছিল রীতিমতো। অভিনেত্রী বলেন, “এতগুলো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছি। কিন্তু এই ধরনের ‘স্টান্ট’ প্রথম করলাম। খুব ভয় পেয়েছিলাম। কোনও দিন নাগরদোলায় পর্যন্ত উঠিনি। সেখানে ঝাঁপ দিতে হবে!” ধারাবাহিকের প্রোমো শুটিংয়ের পরিচালক ছিলেন রাজা চন্দ।
এই ধারাবাহিকে শ্রুতি দাস এবং আরাত্রিকা দু’জনেই একাধিক স্টান্টের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। এই ধরনের দৃশ্যের সঙ্গে অনেক ‘টেকনিক্যাল’ বিষয় যুক্ত থাকে। এ ক্ষেত্রেও ‘হার্নেস’ লাগিয়ে শুটিং করছিলেন তাঁরা। আরাত্রিকা বললেন, “শ্রুতিদি ভয় পাচ্ছিল। কারণ, ওর হার্নেসটা একটু নড়ছিল। তবে এই শুটিংটা করার পর মনে হল, ভয়কে জয় করলাম। এখন আমায় যেখান থেকে লাফাতে বলবে, সেখান থেকেই পারব।” শুটিংয়ের ফাঁকে পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন আরাত্রিকা। সকালে কলেজ করে, তার পর শুটিং করছেন। ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতকের ছাত্রী তিনি। পরীক্ষা চলছে। সেই দিকও সমান ভাবে সামলাচ্ছেন আরাত্রিকা।