মাত্র কয়েক দিন দেখানো হতে না হতেই নাকি ‘কুসুম’ নাকি বদলে যাচ্ছেন? নতুন ধারাবাহিক সম্প্রচার শুরুর পরেই গুঞ্জনে তোলপাড় টেলিপাড়া। জি বাংলার এই ধারাবাহিক দিয়েই ছোট পর্দায় প্রথম নায়িকা তনিষ্কা তিওয়ারি। এর আগে যদিও শিশুশিল্পী হিসাবে তিনি অনেক কাজ করেছেন। তার মধ্যে বেশি চর্চিত ধারাবাহিক ‘কে আপন কে পর’। এই ধারাবাহিকে তিনি নায়িকার খল-মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বুধবার শুটিং থেকে ছুটি পেয়েছেন তনিষ্কা। আনন্দবাজার ডট কম ফোন করতেই তাই সাড়া দিলেন।
আপনার জুতোয় নাকি অন্য কোনও অভিনেত্রী পা গলাতে চলেছেন, শুনেছেন?
প্রশ্ন শুনে একটুও বিরক্তি নেই! দিব্যি হাসতে হাসতে জবাব দিলেন, “হ্যাঁ, শুনেছি। একটুও রাগ করিনি। খারাপও লাগেনি। খবর ভুয়ো। কিন্তু এই ভুয়ো খবরেও তো আমারই প্রচার হচ্ছে! ধারাবাহিকের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়ছে।” বিনোদন দুনিয়ায় এই প্রজন্মের প্রতিনিধি। মাত্র দশম শ্রেণির ছাত্রী। উৎসাহে টগবগিয়ে ফুটছেন। তার ছাপ প্রত্যেক কথায় স্পষ্ট। প্রথম যে দিন প্রচার ঝলকে তনিষ্কা এলেন, দর্শকেরা সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, দক্ষিণী নায়িকার আদল। “আরে, আমিই নিজেকে নিজে চিনতে পারিনি। মনে হচ্ছিল, দক্ষিণী কোনও ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। পরে দেখলাম দর্শকেরাও তাই-ই বলছেন”, অকপট জবাব এল।
আরও পড়ুন:
‘কুসুম’ চরিত্রে রাজি হলেন কেন? কুশল চক্রবর্তী, অঞ্জনা বসুর মতো তাবড় অভিনেতা তনিষ্কাকে ঘিরে। ওঁরাই তো পুরো আলো শুষে নেবেন! এ বারেও অভিজ্ঞ উত্তরই মিলল তনিষ্কার কাছ থেকে। তিনি বললেন, “প্রথমত, চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এখনই গল্প বলতে হবে না। ধারাবাহিক যত এগোবে সকলে দেখতে পাবেন। দুই, নায়িকা হওয়ার সুযোগ পাচ্ছি, এটাও রাজি হওয়ার জোরালো কারণ।” তাঁর তৃতীয় যুক্তি, কুশল বা অ়ঞ্জনার নাম শুনেই তিনি অভিনয়ে আরও রাজি হয়েছেন। কারণ, ওঁদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে তনিষ্কা অভিনয়ের অনেক খুঁটিনাটি শিখতে পারবেন।
কিন্তু অনেকে যে বলছেন, চরিত্র অনুযায়ী নায়িকাকে বেশি ছোট দেখাচ্ছে! “কুসুম খুব উপকারী, গ্রাম্য, হাসিখুশি মেয়ে। এই চরিত্রে বছর পঁচিশের কোনও অভিনেত্রী অভিনয় করলে তিনি কি এই সারল্য ফুটিয়ে তুলতে পারবেন?”, পাল্টা প্রশ্ন এ বার তনিষ্কার। নিজেই তার পর জবাব দিলেন, “তনিষ্কার সঙ্গে কুসুমের কিন্তু মিল আছে। আমিও হাসিখুশি, প্রিয় মানুষের উপকার করতে ভালবাসি। কেবল একটাই পারি না।” ‘কুসুম’ রান্নায় দড়। তনিষ্কার এ সবের নাম শুনলেই গায়ে জ্বর আসে!