লন্ডনে উত্তম-সন্ধ্যা। —নিজস্ব চিত্র।
তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন। সিনেমা যত দিন থাকবে, বাঙালির মনে তত দিনই রয়ে যাবেন উত্তম কুমার। মহানায়ককে নিয়ে এ বার সেই আবেগে ভাসলেন লন্ডনের প্রবাসী বাঙালিরাও। নাচে-গানে বাংলা সিনেমার ফেলে আসা স্বর্ণযুগকে ছুঁয়ে দেখলেন তাঁরা।
আর এ সবই সম্ভব হল ‘ইস্টার্ন ইউফোনি’ সংগঠনের উদ্যোগে। গত ২৩ নভেম্বর উত্তম-স্মরণে সেখানকার ভারতীয় বিদ্যাভবন প্রেক্ষাগৃহে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘মহানায়ক’-এর আয়োজন করে তারা। ছিল ঋদ্ধি বর্ধন ও রুকমা বর্ধনের গলায় উত্তমকুমার অভিনীত ছবির গান। ছিল অডিয়ো-ভিসুয়াল উপস্থাপনাও।
অতিথিশিল্পী হিসেবে ছিলেন দেবাশিস গোলদার ও বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত গৌরী চৌধুরী। কলকাতার বিশিষ্ট বাদ্যযন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও লন্ডনের অমিত দে-ও ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ‘মহানায়ক’-এর সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অরুণাভ বর্ধন। ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ছবির বিখ্যাত কবি গানের লড়াইও রাখা হয় সেখানে। এ ছাড়াও, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘দোলে দোদুল দোলে ঝুলো না’, ‘আমি যে জলসাঘরে’, ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’-র মতো বিখ্যাত সব গান টানা আড়াই ঘণ্টা ধরে মাতিয়ে রাখে দর্শকদের।
আরও পড়ুন: বর্ষবরণে কোথায় যাচ্ছেন ক্যাটরিনা?
আরও পড়ুন: অজয়ের সঙ্গে আলাপ না হলে কি শাহরুখকে বিয়ে করতেন? কাজল বললেন...
প্রবাসেও বাঙালিকে তার বাঙালিয়ানা ফিরিয়ে দিতে ২০১৫-য় কয়েক জন প্রবাসী তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী মিলেই গড়ে তোলেন ‘ইস্টার্ন ইউফোনি’ সংগঠন। গায়ক অনিরুদ্ধ বর্ধন এবং জয় ভৌমিকের হাত ধরেই শুরু হয় ইস্টার্ন ইউফোনির যাত্রা। বাংলা গান নিয়ে গত চার বছরে ব্রিটেনের নানা প্রান্তে ৫০টিরও বেশি অনুষ্ঠান করেছে তারা। ভারতীয় হাই কমিশনেও অনুষ্ঠান করেছে এই সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy