শ্রীলেখা মিত্র।
রিয়ালিটি শো ‘মীরাক্কেল’-এর বিচারকের আসন খুইয়েছেন সম্প্রতি। সেই আঘাত বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করেছেন তিনি। ২৯ অগস্ট রাতে সে সব ঝেড়ে ফেলে শ্রীলেখা মিত্র স্বমহিমায়, সেলিব্রেশন মোডে। উপলক্ষ, ৩০ অগস্ট অভিনেত্রীর জন্মদিন। আগের রাতেই মেয়ে মাইয়্যা ইয়া বড় কেক এনেছে। উপহারের কেকও এসেছে। সব মিলিয়ে ‘রাত যৌবনবতী’...!
সোশ্যালে ঘরোয়া পার্টির সেই ভিডিও রমরমিয়ে ঘুরছে। সিফনের দুধ সাদা স্লিভলেস ড্রেসে, খোলা চুলে শ্রীলেখা বহ্নিশিখা। পারছেন কী করে? প্রশ্ন করতেই জবাব এল, ‘‘আগর নামওয়ালা হুয়ি, তো বদনাম ভি।’’
আরও এক বছর এগোনোয় পরিণতমনস্কতার ছাপ? একটা করে জন্মদিন আসে এক বছর করে আরও ‘ইয়ং’ হন শ্রীলেখা। মনের দিক থেকে আস্তে আস্তে মেয়ের থেকেও তরুণী হয়ে যাচ্ছেন ক্রমশ! সাফ জবাব অভিনেত্রীর।
এদিকে ভিডিও দেখে পুরুষেরা যে জ্বলছে! সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন, ‘‘শুধু পুরুষ বলবেন না, নারীদেরও আমাকে নিয়ে কৌতূহল, রাগ, হিংসে, জ্বালা। ফ্যান্টাসিও। ওই জন্যেই তো আমাকে নিয়ে কী করবে, বুঝে উঠতে পারে না। নানা রকমের পথ অবলম্বন করে। তবু দমাতে পারে কই?’’
আজ সারা দিন কী করবেন, কী পরবেন, কী খাবেন, কোথায় যাবেন? ‘‘জন্মদিন উপলক্ষে ইলিশ আনিয়েছি। ওটা কাল শান্তি করে খাব। আজ আগের দিনের রান্নাতেই হয়ে যাবে।’’ তার পরেই আনমনা অভিনেত্রী, ‘‘মা থাকলে আজকের দিনে পায়েস রেঁধে দিত। পা ছুঁলে মাথায় হাত রেখে মন্ত্র পড়ে আশীর্বাদ করত। জড়িয়ে ধরে চুমু খেত। এটা আর কেউ করে না। জন্মদিন এলেই নতুন করে মায়ের অভাব বোধ করি।’’
নিমেষে সামলে নিয়ে জ্বলে উঠলেন, ‘‘শাড়ি বেছেছি হ্যান্ডলুমের সাদা ঘেঁষা। গরমে পরে আরাম। ‘ঈশ্বর সংকল্প’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় যাব। ওখানে কিছু ভাল-মন্দ খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কোনও দিনই অন্যদের মতো ইন্ডাস্ট্রিকে তেল দিতে পার্টি করিনি। আজও না। বরং সেই পয়সা বাঁচিয়ে কিছু অসহায় মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে পারলে তৃপ্তি বেশি।’’
মেয়ে, নিজের জীবন ধারণেও তো উপার্জন লাগে! ইন্ডাস্ট্রিতে না থাকতে পারলে চালাবেন কী করে? ‘‘হ্যাঁ জীবন চালাতে টাকা-পয়সা লাগে’’ স্বীকার করলেন শ্রীলেখা। দাবি, ‘‘শুধু ‘মীরাক্কেল’ নয়, বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনের কাজ, সিরিজের কাজও হারিয়েছি একই সঙ্গে। তবু তেল দেওয়া আমার দ্বারা হবে না।’’
একই সঙ্গে নিজেকে বিশ্লেষণ, "আসলে শ্রীলেখার হাঁ-মুখ ছোট তো! তাই খাওয়ার পরেও উদবৃত্ত থেকেই যায়। তাই দিয়ে দিব্য চলে যাচ্ছে মা-মেয়ের সংসার।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy