১৯৫০ সালের কথা। রাজেশ খন্নারও আগে বলিউডে প্রতিপত্তি ছিল অভিনেতা ভারত ভূষণের। দিলীপ কুমারও তখন সে ভাবে দর্শক মনে জায়গা করে উঠতে পারেননি। তারও আগের কথা। সে সময় ভারত ভূষণেরই জয়জয়কার ছিল দর্শক মহলে। বহু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই তালিকায় রয়েছে ‘বৈজু বাওরা’, ‘আনন্দ মঠ’, ‘মির্জা গালিব’, ‘মুড় মুড় কে না দেখ’-সহ আরও অনেক বাণিজ্যসফল ছবি। বলিউড সূত্রে খবর, সে যুগে মুম্বই চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে ধনী অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, শেষ বয়সে খুবই আর্থিক কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের মিরাটে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা তাঁর। আলিগড়ে পড়াশোনা শেষ করার পর মুম্বই চলে আসেন। অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। ১৯৪১ সালে ‘চিত্রলেখা’ ছবির মাধ্যমে অভিনয় হাতেখড়ি তাঁর। তার পর অনেক সফল ছবির মুখ ছিলেন ভূষণ। কিন্তু এত সাফল্যেরও পরেও কেন দারিদ্র গ্রাস করল তাঁকে?
আরও পড়ুন:
অভিনেতা হিসাবে সাফল্য পাওয়ার পরে ভাইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছবি প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেতা। তার পর থেকেই সব সমস্যার শুরু। সেই একই সময় বলিউডে অভিষেক হয় শশী কপূর, রাজেশ খন্না, ধর্মেন্দ্রর মতো অভিনেতাদের। তখনই আরও সমস্যার সম্মুখীন হন ভারত। একের পর এক ব্যর্থ ছবি। সব টাকা খুইয়ে দেউলিয়া হয়ে যান অভিনেতা। শেষে পেট চালাতে জুনিয়র আর্টিস্ট হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। শুধু ব্যবসার জন্য নয়, জুয়া খেলেও অনেক টাকা নষ্ট করেছিলেন তিনি। সেই মাশুলও গুনতে হয়েছিল তাঁকে। আরবসাগর পারে বিলাসবহুল বাংলো ছেড়ে রাস্তার ধারের ছোট বাড়িতে ঠাঁই হয় তাঁর। কিছু দিন আগে অমিতাভ বচ্চন এক ঘটনার কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন। এক বার তাঁকে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন অমিতাভ। ওই ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে যান তিনি। সাধারণ মানুষের ভিড়ে এক সময়ের মহানায়ককে ওই অবস্থায় দেখে তিনি অনুভব করেন এই পরিস্থিতি যে কোনও সময় যে কারও জীবনে আসতে পারে।