খারিজ হয়ে গেল বলিউড সলমনের বিরুদ্ধে ওঠা হেনস্থার অভিযোগ। — ফাইল চিত্র।
ইদের আগেই সুখবর বলিউডের ভাইজানের জন্য। গত চার বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে চলা এক মামলার নিষ্পত্তি হল আদালতে। সলমন খান এবং তাঁর দেহরক্ষী নওয়াজ় শেখের বিরুদ্ধে ওঠা হেনস্থার অভিযোগ খারিজ করে দিল বম্বে হাইকোর্ট। ২০১৯ সালে সলমন ও তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন জনৈক সাংবাদিক অশোক পাণ্ডে। সলমনের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন ওই সাংবাদিক। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুরু হয় মামলার বিচার। সেখানে বলিউড অভিনেতা ও তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি শুরুর নির্দেশও দেওয়া হয়। তার পরে, বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন সলমন ও তাঁর দেহরক্ষী। সেখানেই খারিজ হয়ে গেল বলিউড অভিনেতার বিরুদ্ধে ওঠা হেনস্থার অভিযোগ।
২০১৯ সালে জনৈক সাংবাদিক আশোক পাণ্ডে এবং তাঁর চিত্রসাংবাদিক সহকর্মী সলমন খানের সাইকেল চালানোর ছবি তুলছিলেন। সেই সময় তাঁদের বাধা দেন সলমনের দেহরক্ষী নওয়াজ় শেখ। সাংবাদিক অশোক পাণ্ডের দাবি, তাঁদের শুধু বাধাই দেওয়া হয়নি, রীতিমতো হেনস্থা করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর পুলিশে সলমন ও তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে যান অশোক পাণ্ডে। কিন্তু সেখানেও নাকি তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এর পর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই সাংবাদিক। গত বছর এপ্রিলে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে বম্বে হাই কোর্টে ওঠে ওই মামলা।
তার পর থেকেই দফায় দফায় চলছিল ওই মামলার শুনানি। অবশেষে মিলল চূড়ান্ত রায়। আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে জানানো হয়— এক জন অভিনেতা হোন বা আইনজীবী, আদালতের বিচারপতি হোন বা অন্য কেউ, তাঁরও ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেই ব্যক্তিগত জীবনে অনুমতি ছাড়া নাক গলানো উচিত নয়। শুনানিতে আরও বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যে অভিযোগের ভিত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধি শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে বেশ কয়েকটি পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। সে ক্ষেত্রে পুলিশি তদন্ত ছাড়াই বয়ানের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪ ও ৫০৬ ধারায় সলমন খান ও তাঁর দেহরক্ষীকে অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্ন আদালতের সেই রায় এ বার বাতিল করল বম্বে হাইকোর্ট। চলতি মাসে ইদ উপলক্ষে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবির মুক্তির আগেই স্বস্তি পেলেন বলিউডের ভাইজান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy