(বাঁ দিকে) শ্রীদেবী। বনি কপূর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের প্রিয় ‘চাঁদনি’ তিনি। আশির দশকে বিনোদন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা। চুটিয়ে কাজ করেছিলেন দক্ষিণী বিনোদন জগতেও। পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও সাজিয়েছিলেন শ্রীদেবী। নব্বইয়ের দশকে বলিউডের প্রযোজক বনি কপূরকে বিয়ে করেন তিনি। তার পরে প্রায় ২২ বছরের সংসার স্বামী-স্ত্রীর। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ মেলে দুঃসংবাদ। দুবাইয়ে প্রয়াত হন শ্রীদেবী। নায়িকার মৃত্যু রীতিমতো আলোড়ন ফেলেছিল বিনোদন জগতে। জানা গিয়েছিল, স্নানাগারের বাথটাবে ডুবে নাকি মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শ্রীদেবীর প্রয়াণের পরে তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে আসল কারণ খুঁজতে শুরু হয় তদন্ত। কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল বনিকেও। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিলেন তিনি?
২০১৮ সাল থেকে শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সত্যিই কি বাথটাবে ডুবে মারা গিয়েছিলেন তিনি? সেই সময় তো হোটেলের ঘরে ছিলেন বনি। তিনি কি কোনও কিছুরই আঁচ পাননি? উঠেছিল এমন অনেক প্রশ্নও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রীর মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে বনি জানান, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি শ্রীদেবীর। তবে কি সত্যিই নায়িকার প্রয়াণের নেপথ্যে কোনও ভাবে হাত ছিল বনির? বনি বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর মৃত্যু একটা দুর্ঘটনা ছিল। তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে আমাকে জেরা করা হয়েছিল। এমনকি, আমাকে ‘লাই-ডিটেকটর টেস্ট’ও করাতে হয়েছিল। তার পরে রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসে যে, দুর্ঘটনার ফলেই মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর।’’
ওই সাক্ষাৎকারেই বনি জানান, শেষ জীবনে মাঝে মাঝেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতেন শ্রীদেবী। বনি বলেন, ‘‘শ্রীদেবী মাঝে মাঝেই উপোস করত। সারা দিন কিছু খেত না। কারণ ও মনে করত যে, পর্দায় সুন্দর দেখানোর জন্য ওকে ওর চেহারা ধরে রাখতে হবে। এমনকি, ও তো মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে পড়েও যেত। চিকি়ৎসক জানিয়েছিলেন, রক্তচাপ কমে যাওয়ার ফলে এটা হচ্ছে।’’ অভিনয় জীবনে দীর্ঘ দিন ধরেই নাকি উপোস করায় অভ্যস্ত ছিলেন শ্রীদেবী। পর্দায় তাঁকে আকর্ষণীয় দেখতে লাগতে হবে, এই ভাবনাই তাড়া করত তাঁকে। লাস্যময়ী চেহারা ধরে রাখার জন্যই নাকি খাওয়া-দাওয়া মাঝে মাঝে একেবারেই ছেড়ে দিতেন। এই অনিয়মের খেসারতই কি দিতে হল নিজের প্রাণ দিয়ে? উঠছে সেই প্রশ্নও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy