পিয়া সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে আদালতে পরিচালক-প্রযোজকের একাংশ, প্রতিক্রিয়া জানালেন ‘ইম্পা’ সদস্য। — ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগ রয়েছে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর, এমনই ধারণা ইডির। এ বার অভিযোগ অভিনেতার মা তথা ইম্পা সভাপতি পিয়া সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে। পিয়ার বিরুদ্ধে এ বার হাইকোর্টে গেলেন টলিউডের কিছু পরিচালক-প্রযোজক।
তবে এই বিষয়ের সূত্রপাত ২০২১ সালের ইম্পার নির্বাচনে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে হয়েছিল এই সংগঠনের নির্বাচন। টলিউডের হল মালিক, পরিবেশক এবং প্রযোজকদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘ইম্পা’। পিয়াকে নির্বাচনে জেতানোর জন্য কুন্তল নাকি নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন, উঠছে অভিযোগ। শোনা যাচ্ছে, প্রচুর টাকাও খরচ করেছিলেন তিনি। তখন অবশ্য নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কুন্তলের নাম জড়ায়নি। এখন অবশ্য এ ধরনের নানা যোগসূত্র খুঁজে বার করছেন অনেকেই। এ বার পিয়ার বিরুদ্ধে আদলতে গেলেন পরিচালক মিলন ভৌমিক ও কৃষ্ণা দাগা। ‘ইম্পা’-র নির্বাচনে বহু বছর ধরেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মিলন ভৌমিক। তবে প্রতি বারই পরাজিত হয়েছেন তিনি। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০২১ সালের নির্বাচনে স্বচ্ছতা ছিল না। সেই ভিত্তিতেই আগেই আদলতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। এ বার নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ জড়াতেই সুর চড়িয়েছেন তাঁরা, দাবি ‘ইম্পা’র পরিবেশনা শাখার চেয়ারম্যান সরোজ মুখোপাধ্যায়ের।
আনন্দবাজার অনলাইনকে সরোজ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মিলন ভৌমিক ও কৃষ্ণা দাগা ২০২১ সালের ইম্পার নির্বাচনের পর থেকে আদলতে গিয়েছেন। প্রায় ১৪ বছর মিলনবাবু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও পরাজিত হয়েছেন বার বার। এটা পুরোটাই করছেন পিয়াদি’র ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। আমরা এই বিষয় নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নই। ‘ইম্পা’ যে ভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে, তা অন্য কোথাও হয় না। সামনেই নির্বাচন, তাই তার আগে এই বিষয়গুলো খুঁচিয়ে প্রচারে আসার চেষ্টা এগুলো।’’
এই প্রসঙ্গে পিয়া সেনগুপ্তের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হলেও উত্তর মেলেনি ‘ইম্পা’ সভাপতির তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy