ওয়েব প্ল্যাটফর্মে আটটি সিরিজ়, পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবির সংখ্যা তিনটি। জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের গোয়েন্দা ‘একেনবাবু’ একুশের বাঙালির কাছে সমাদৃত। গত সপ্তাহে, ৬ মে মুক্তি পেয়েছে পরিচালকের তৃতীয় ছবি ‘দ্য একেন: বেনারসে বিভীষিকা’। সেখানেই গন্ডগোল। ছবিতে একটি মাত্র গান— গেয়েছেন ক্যাকটাস ব্যান্ডের জনপ্রিয় গায়ক সিধু ওরফে সিদ্ধার্থ রায়। কিন্তু তিনি ছবিমুক্তির দিনে আমন্ত্রণই পাননি! খবর জেনে গায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। সিধুর গলায় অভিমান, “প্রিমিয়ারে আমন্ত্রণ জানানো ন্যূনতম ভদ্রতা। সেটুকুও পেলাম না। আমার কাছে পুরোটাই অশুভ সঙ্কেত।”
সাধারণত গোয়েন্দা গল্পে গান কম থাকে। ‘একেনবাবু’তেও সেই ধারা অব্যাহত। সিধুর কথায়, “ছবিতে একটি গান। সেটি আমিই রেকর্ড করেছিলাম। এই নিয়ে তৃতীয় বার ব্যবহৃত হল। আগের বার প্রিমিয়ারে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। এ বারেও জানতাম, আমায় ডাকা হবে। দেখলাম, প্রযোজনা সংস্থা কী করে যেন ভুলে গেল!”
বিষয়টি নিয়ে কি কথা হয়েছে সংস্থার সঙ্গে? গায়ক জানিয়েছেন, খবর ছড়ানোর পর সংস্থার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। জানানো হয়েছে, কোনও ভাবে ভুল হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে পরিচালক জয়দীপের দাবি, “বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সিধুর সঙ্গে। সত্যিই এই আচরণ কাম্য নয়। আমার তরফ থেকে আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করেছি।”
আরও পড়ুন:
বিশেষ প্রদর্শনে ডাক পাওয়া যে কোনও কলাকুশলীর কাছে সম্মানের। কিন্তু তার থেকেও বড় বিষয় হল পারিশ্রমিক। একই গান আলাদা ভাবে তিনটি ছবিতে তিন বার ব্যবহৃত হয়েছে। সিধু সেই সম্মানদক্ষিণা পেয়েছেন তো?
এমন প্রশ্ন শুনে অভিমানের উচ্ছ্বাস বেড়েছে সিধুর। গায়কের কথায়, “আদৌ পারিশ্রমিক পাব কি না, আইনত দাবি করতে পারি কি না— তা-ই জানি না! ও সব নিয়ে তাই আর কথাও বাড়াইনি।” একটু থেমে যোগ করেছেন, যে গায়ক প্রিমিয়ারে ডাক পান না, তাঁর গান ব্যবহারের আগে ‘নো অবজেকশন’ শংসাপত্র চাওয়া হবে— এত কিছু আর আশাই করেন না তিনি। এর আগেও তাঁর কাছ থেকে এ রকম কিছুই জানতে চাওয়া হয়নি।