অবশেষে মুখ খুললেন সেলিনা। — ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি, বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন জনৈক টুইটার ব্যবহারকারী। সূত্র বলছে, উমের সান্ধু নামে ওই ব্যক্তি স্বঘোষিত চিত্র সমালোচক। উমের টুইট করেন, ‘‘সেলিনা ভারতের একমাত্র অভিনেত্রী যিনি বাবা এবং ছেলে (ফিরোজ় খান এবং ফারদিন খান) দু’জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে ছিলেন। উমেরের এই টুইটের পরেই সমাজমাধ্যমে ঝড় ওঠে। উমেরকে পাল্টা টুইট করে একহাত নেন ‘নো এন্ট্রি’র অভিনেত্রী।
ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। অবশেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সেলিনা। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘‘ওই ব্যক্তি আমাকে মারাত্মক আক্রমণ করেছে। মঙ্গলবার ১৪ লক্ষ টুইটার ব্যবহারকারী ঘটনাটি দেখেছেন এবং আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’’ এরই সঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘ওর বিরুদ্ধে টুইটারে প্রায় ৩ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। এ বার দেখা যাক কী হয়।’’
তারকাদের এখন প্রায়শই সমাজমাধ্যমে আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়। এই বিষয়ে সেলিনার প্রতিক্রিয়া, ‘‘কোনও কোনও সময় অতর্কিতে এ রকম আক্রমণ আসতেই থাকবে, এক বার নয়, একাধিক বার। নির্দিষ্ট কোনও এক জন ব্যক্তির থেকে আক্রমণ আসতে থাকলে তখন নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা শুরু হয়।’’ সেলিনা আরও বলেন, ‘‘ যাঁরা ট্রোল করেন, তাঁদের শতকরা ৯৯ ভাগ সময় পাত্তা না দেওয়াটাই উচিত। কিন্তু কখনও কখনও বাকি ১ শতাংশ এতটাই ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়ে ওঠে তখন নিজেকে রক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।’’
২০০১ সালে ‘জানশীন’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় সেলিনার। আর্কষণীয় চেহারার অধিকারী সেলিনাকেই ছেলের ডেবিউ ছবির নায়িকা হিসেবে নির্বাচন করেন অভিনেতা-পরিচালক ফিরোজ় খান। সাহসী দৃশ্যে ও পোশাকে নজর কাড়েন অভিনেত্রী। ফারদিনের সঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সেলিনা। কিন্তু এক সময় নিজে থেকেই বলিউডের চাকচিক্য থেকে দূরে সরে যান। ২০১১ সালে পিটার হাগের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে অস্ট্রিয়াতে রয়েছেন সেলিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy