জনপ্রিয় কমেডি ঘরানার ‘আঁখে’ ছবির কথা এখনও দর্শকের মনে টাটকা। চাঙ্কি পাণ্ডে ও গোবিন্দের অনবদ্য এই জুটি সম্প্রতি হাজির হয়েছিল কাজল ও টুইঙ্কল খন্না সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে। বলিউডে চাঙ্কির সফর নাকি শুরু হয়েছিল শৌচাগার থেকে! মজার ছলেই সেই গল্প শোনালেন অভিনেতা।
হিন্দি সিনেদুনিয়ায় প্রবেশাধিকার পাওয়া খুব একটা সহজ বিষয় নয়। কর্মজীবনের শুরুর দিকের কথা মনে করে চাঙ্কি বলেন, “আমি অভিনেতা হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমার পরিবারের কেউ কখনও অভিনয় করেননি। আমার মামা ছিলেন চরিত্রাভিনেতা। আমার প্রথম ছবি পেতে প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর কষ্ট করতে হয়েছিল। তবে আমি যে সিনেমায় আসতে পেরেছি তার পুরো কৃতিত্ব গোবিন্দের।”
জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো সাধারণত অপ্রত্যাশিত ভাবেই আসে। চাঙ্কি বলেন, “পহলাজ নিহলানীর সঙ্গে আমার দেখা হয় শৌচাগারে। ওখানেই আমার কর্মজীবনের শুরু। তত দিনে পহলাজ গোবিন্দকে নিয়ে ‘ইলজ়াম’ তৈরি করে ফেলেছেন। দারুণ সফল হয়েছিল। কিন্তু, আমার সঙ্গে শৌচাগারে যখন দেখা হয়, ওঁকে তখনও আমি চিনি না। তখন তো সমাজমাধ্যম ছিল না। কাকে কেমন দেখতে সাধারণ মানুষ অত জানতে পারতেন না।”
তা হলে শৌচাগারে আলাপ কী করে হল? হাসতে হাসতে চাঙ্কি জানান, প্যান্টের দড়িতে গিঁট পড়ে গিয়েছিল তাঁর। কারও সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। সেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন পহলাজ। অভিনেতা বলেন, “সেই সময় আমি জিজ্ঞেস করি যে উনি কী করেন। তখন নিজের পরিচয় দেন তিনি। হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। তার পর নিজের নাম বলে আমি জানাই যে আমিও অভিনয় করতে চাই।” এ ভাবেই শুরু। পরের দিন চাঙ্কিকে নিজের অফিসে ডেকে পাঠান পহলাজ। সেখানেই প্রথম ছবির প্রস্তাব পান চাঙ্কি। ১৯৮৭ সালে মুক্তি পায় চাঙ্কির প্রথম ছবি ‘আগ হী আগ’। এর পর ‘তেজ়াব’ ছবিতে বব্বনের চরিত্রে চাঙ্কির অভিনয় বিশেষ প্রশংসা লাভ করে।
আরও পড়ুন:
চাঙ্কির পরেও তাঁর পরিবারে অভিনয়ের ধারা অব্যাহত। হিন্দি সিনেদুনিয়ার নতুন প্রজন্মের নায়িকাদের অন্যতম তাঁর মেয়ে অনন্যা পাণ্ডে। এ ছাড়া, চলতি বছরেই মুক্তি পেয়েছে ‘সইয়ারা’। এই ছবির মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেছেন চাঙ্কির ভাইপো অহান পাণ্ডে।