অভিনেতা শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত।
তিন দশকের উপর দর্শকের মনোরঞ্জন করে চলেছেন শাহরুখ খান। অভিনয়ই হোক, বা কোনও জমজমাট সাক্ষাৎকার— শাহরুখ সবেতেই চোখ টেনে রাখেন। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলও শাহরুখের ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ। বলিউডের দুই বিখ্যাত কৌতুকাভিনেতা সাইরাস ব্রোয়াচা এবং সাইরাস সাহুকরও আছেন সেই তালিকায়।
সম্প্রতি ব্রোয়াচার পডকাস্টের এক পর্বে শাহরুখ-চরিত্রের নানা দিক নতুন করে ধরা দিল। অনুরাগীদের কাছেও শাহরুখের প্রতিটি গল্প উদাহরণের মতো। শুনে শুনে পুরনো হয় না যেন। সাইরাস সাহুকর জানান, তিনি ‘সিগনেচার মাস্টারক্লাস’ অনুষ্ঠানের একটি পর্বের শুটিং করছিলেন তিনি। শাহরুখের উপরেই নির্মিত হচ্ছিল সেটি। এক ঘণ্টা পঁচিশ মিনিটের পর্ব ছিল। নিজের জীবনের নানা অধ্যায় নিয়ে কথা বলছিলেন নায়ক। উঠে এসেছিল ছোটবেলার প্রসঙ্গও। কী ভাবে ‘কভি হাঁ কভি না’ ছবিতে সুযোগ পেলেন, জীবন সম্পর্কে কতটা বিচলিত ছিলেন তিনি— এই সব নিয়ে কথাবার্তা চলছিল। এক জন বয়স্ক লোক সামনের সারিতেই বসেছিলেন। হঠাৎ তিনি উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করে শাহরুখের নাম ধরে ডেকে বললেন, “একটু দুর্বলতা লক্ষ করছি আপনার চোখে।”
সাহুকরের কথায়, “দর্শকাসনে বসা সেই লোকটির কথা শুনে শাহরুখ একটু থামলেন। তার পর বললেন, ‘ঠিক আছে, আমি পরে কথা বলব আপনার সঙ্গে।’
সেই ভদ্রলোক থামেননি। উপস্থিত দর্শককে অবাক করে তিনি শাহরুখকে বললেন, ‘আমি এক জন চোখের ডাক্তার। একটু নাচ-টাচও করুন। শুধু দুঃখের গল্পই তো শোনাচ্ছেন।”
এতটুকুও উত্তেজিত হননি শাহরুখ। শুধু বললেন, “স্যর, আমার মনে হয়, আপনার মুজরার অনুষ্ঠানে যাওয়া উচিত। এটা ঠিক ওই ধরনের অনুষ্ঠান নয়।”
তাঁর জবাবে মুগ্ধ হন সাহুকর। তাঁর দাবি, শাহরুখ অসাধারণ। যে ভাবে তিনি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলেছিলেন, সুন্দর ভাবে উত্তর দিয়েছিলেন, তা শিক্ষণীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy