একের পর এক পদোন্নতি অলোক সান্যালের। সদ্য তিনি ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ-এর দায়িত্ব পেয়েছেন। বরাবর প্রশাসনিক মহলে তাঁর সুনাম। তিনি দক্ষ হাতে কাজ সামলান, শোনা যায় এমন কথা। যার জেরে তাঁর পদোন্নতি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন খবর। প্রশাসনের উচ্চপদে থেকেও তিনি নাকি ‘মন্ত্রী’র কুর্সিতে বসছেন!
কী করে সম্ভব হচ্ছে? খবর পেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। অলোক দরাজ হেসে জানিয়েছেন, বাস্তবে তিনি ডিসিপি। পর্দায় তিনি মন্ত্রী। পরিচালক টোটন অরিজিৎ চক্রবর্তীর আগামী ছবি ‘তোমাকে বুঝি না প্রিয়’। সেখানেই ‘মন্ত্রী’র ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। “আমি কিন্তু ভাল মন্ত্রী। প্রচুর কাজ করি। কেউ ভুল করলে তাকে বকাবকি করি। টিপিক্যাল মন্ত্রী নই”, হাসতে হাসতে দাবি তাঁর। আবার অনুপ দাসের ‘রেখা’ ছবিতে তিনি কাউন্সিলার। কোন আসনে বসে বেশি আরাম পেলেন? “অবশ্যই মন্ত্রীর আসনে বসে। ওই কুর্সির বিকল্প হয়?”, ফের অট্টহাস্য তাঁর।
বরাবর প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলানোর পাশাপাশি নানা স্বাদের চরিত্রে অভিনয় করেন অলোক। কখনও তিনি চিকিৎসক, কখনও তিনি উত্তর কলকাতার পুরনো বাড়ির মালিক। আবার কখনও প্রশাসনিক পদে দেখা যায় তাঁকে। “যেমন, সপ্তাশ্ব বসুর আগামী ছবি। সেখানে মমতাশঙ্কর-অঞ্জন দত্তের সঙ্গে অভিনয় করছি। ছবিতে আমি অবসারপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার। আবার সিরিজ় ‘ইন্দু’তে আমি চিকিৎসকের ভূমিকায়।” দেবালয় ভট্টাচার্যের ‘ভুগুন’-এও এক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে, তৃপ্ত গলায় জানালেন ডিসিপি।
বরাবর এ ভাবেই একাধারে পেশা আর প্যাশনকে নিখুঁত ভাবে সামলাচ্ছেন ডিসিপি অলোক সান্যাল।