কপালে সিঁদুর সিঁদুর টিপ। হলুদ জমিনে লাল পেড়ে আটপৌড়ে তাঁতের শাড়ি। কোমরছোঁয়া চুল হাতখোঁপায় বন্দি। বাড়তি সাজ, খোঁপায় দেওরের মেয়ের দেওয়া মরশুমি ফুল। আর মুখের হাসি। এই-ই লক্ষ্মী কাকিমা। লাবণ্যে ভাটা নেই। বেলা করে ওঠা ঘুমন্ত ছেলেকে যখন ঝঙ্কার দিয়ে ডাকেন কিংবা স্বামীকে যখন জলখাবারের থালাটি হাসিমুখে দেন, লক্ষ্মীশ্রী উপচে পড়ে। এই কাকিমার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ দোকানটিও দেখার মতো। তাঁর মতোই নিতান্ত আটপৌরে। কিন্তু চাল, চিনি, ময়দা থেকে গেরস্থালির নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সেখানে থরে থরে সাজানো। যার যা লাগে কাকিমা জোগান দেন। একা হাতে মসৃণ ভাবে দোকান-সংসার সামলান।
কাকিমার ‘কাকু’টি কেমন? লাল-সাদা বাটিকের শার্ট, সাদা পাজামায় আর পাঁচ জন কর্তার মতোই। রুটি-বেগুনভাজা, নলেন গুড় জলখাবারে পেলে সুন্দরী গিন্নির প্রতিও অমনোযোগী! আপাতত এঁরাই ছোট পর্দা মাতাতে আসছেন। জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ ধারাবাহিকে। প্রযোজনায় সুশান্ত দাস। এই দুই চরিত্রের সৌজন্যে ছোট পর্দায় প্রথম জুটি বাঁধতে চলেছেন দেবশঙ্কর হালদার-অপরাজিতা আঢ্য। আর কে কে থাকছেন ওঁদের সঙ্গে? অপরাজিতা, প্রযোজক কেউই ফোনে সাড়া দেননি। ফলে, জানা যায়নি বিশদে।