চিনতে পারছেন? ছবি: টুইটার।
মুম্বইয়ের ধোবিঘাটে একগাদা নোংরা জামাকাপড় নিয়ে ঘুরে বে়ড়াচ্ছেন দীপিকা। দীপিকাকে চেনা যাচ্ছে না। মহালক্ষ্মী রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ঘিঞ্জি ধোবিঘাটে যান। দেখতে পাবেন তাঁকে। তবে চিনতে না-ও পারেন। এ কোন দীপিকা?
ভিন ডিজেলের নায়িকা ঝকঝকে স্মার্ট-গ্ল্যামারাস দীপিকা পাড়ুকোন নন। বরং এ দীপিকা কেমন যেন দিশেহারা! পরনে গাঢ় গোলাপি সালোয়ার-ওড়না আর সবুজ রঙের চুড়িদার। মলিন মুখের বিষাদমাখা কপালে কালো টিপ। একরাশ চিন্তার ছাপ মুখে। এমন চেহারার দীপিকাকে আগে কখনও দেখা যায়নি। তবে এই দীপিকাকেই দেখা যাবে ইরানি ফিল্মমেকার মাজিদ মাজিদির পরের ফিল্মে। আর সেই জন্যই তো দীপিকা ধোবিঘাটে। হ্যাঁ! হলি-বলি-টলির গণ্ডি ছাপিয়ে দুনিয়ার অন্য প্রান্তের সিনেমার খবরাখবর যাঁরা রাখেন তাঁদের কাছে এটা একটা চোখ কপালে তোলা খবর বটে।
দীপিকাকে শট বোঝাচ্ছেন মাজিদ মাজিদি। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
ইরানি সিনেমাকে যাঁরা দুনিয়ার দরবারে নিয়ে এসেছেন মাজিদ মাজিদি তাঁদের মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে আসবেন। ‘চিলড্রেন অব হেভেন’, ‘দ্য সং অব দ্য স্প্যারোস’, ‘বারান’, ‘দ্য কালার অব প্যারাডাইস’— একের পর এক ফিল্মে সম্পর্কের টানাপড়েন আর তীব্র আবেগের কাহিনি তুলে ধরেছেন মাজিদ। ১৯৯৮-তে সেরা বিদেশি ছবির অস্কার দৌড়ে ছিল ‘চিলড্রেন অব হেভেন’। সেই প্রথম কোনও ইরানি ফিল্মের অস্কারের মনোনয়ন। তা সেই মাজিদের সঙ্গে যে দীপিকা কাজ শুরু করেছেন এটা তো ঢাকঢোল পিটিয়ে বলার মতো খবর। তবে তা কিন্তু হয়নি। উল্টে খুবই গোপনে মাজিদের ফিল্মের শুটিং শুরু করেছেন দীপিকা।
মুম্বই ছাড়াও মাজিদের ফিল্মের শুটিং ছড়িয়ে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও কাশ্মীরের নানা কোণায়। ফিল্মের গল্পগাছা নিয়ে বিশেষ কিছু জানা না গেলেও শোনা যাচ্ছে, আগামী বছরের শেষের দিকে এটি রিলিজ হবে। সঞ্জয় লীলা বনশালীর ঐতিহাসিক ‘পদ্মাবতী’র শুটিংয়ের মাঝেই তাই একেবারে সাদামাটা, ডিগ্ল্যামারাইজড দীপিকা।
আরও পড়ুন: জিনাতের সঙ্গে শুতে চেয়েছিলেন অভিষেক!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy