Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Karan Mehra

Karan-Nisha: নিশার রক্তাক্ত ছবি প্রকাশ্যে, গর্ভপাতের পর থেকেই তাঁকে মারতেন কর্ণ, দাবি বন্ধুদের

এক বন্ধুর মতে, নিশা গার্হস্থ্য হিংসা মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু প্রতারণা মানতে পারেননি।

নিশার রক্তাক্ত ছবি (বাঁ), কর্ণ মেহরা এবং নিশা রাওয়াল (ডান)

নিশার রক্তাক্ত ছবি (বাঁ), কর্ণ মেহরা এবং নিশা রাওয়াল (ডান)

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২১ ২০:৫২
Share: Save:

কর্ণ মেহরা এবং নিশা রাওয়ালের ৯ বছরের দাম্পত্যে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা ঘটছে গত ৭ বছর ধরেই। সেই ইতিহাস প্রকাশ্যে আনলেন দম্পতির এক বন্ধু, টেলি-অভিনেত্রী মুনিশা খটওয়ানি। একই সঙ্গে আরও এক বন্ধু, ডিজাইনার রোহিত বর্মার ইনস্টাগ্রামে দেখা গিয়েছে রক্তাক্ত নিশার ছবি।

সোমবার মধ্যরাতে তারকা দম্পতির মধ্যে বিবাদের সূত্র ধরে গ্রেফতার হন ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়’-এর একদা নায়ক কর্ণ। মঙ্গলবার সকালে জামিন পাওয়ার পরে তিনি তাঁর স্ত্রীর সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ আনেন। যা অস্বীকার করেন নিশা এবং নিশার ২ বন্ধু৷

ডিজাইনার রোহিত বর্মা নিশার রক্তাক্ত মাথার ছবি নেটমাধ্যমে দিয়ে লিখেছেন, ‘চুপ করে এত বছর সব সহ্য করে এসেছে সে। আমি খুশি যে, এ বারে আমার বন্ধু নিজের জন্য মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অবাক হই এটা দেখে, একজন পুরুষ কী ভাবে পশু হয়ে উঠতে পারে? আমার বন্ধু যা সহ্য করে চলেছে, তা অবর্ণনীয়’।

মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী মুনিশা জানালেন, ২০১৪ সালে গর্ভপাত হয় নিশার। তার পর থেকেই ত্রীকে মারধর করা শুরু করেন কর্ণ। মুনিশার কাছেও ৭ বছর আগের কিছু ভয়াবহ ছবি রয়েছে, যা গার্হস্থ্য হিংসার প্রমাণ। মুনিশার কথায়, ‘‘নিশা আমার নিজের বোনের মতো। আমি ওকে চিনি। এক জন অভিনেত্রী হয়ে কোনও দিন নিজের চেহারার ক্ষতি নিজে হাতে করবে না। কর্ণের অভিযোগ মিথ্যে। কর্ণই মেরেছে নিশাকে।’’

এ ছাড়া কর্ণের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথাও জানালেন মুনিশা। তাঁরা এক মাস আগে থেকেই এই ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন। তাঁর মতে, নিশা গার্হস্থ্য হিংসা মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু প্রতারণা মানতে পারেননি। তাই মঙ্গলবার রাতে তাঁদের ঝগড়া শুরু হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE