লালবাজার থেকে ফিরছে শবর দাশগুপ্ত, পরিচালক অরিন্দম শীলের হাত ধরে। শবর সিরিজ়ের তিনটি ছবির পরে এ বার ‘অন্য শবর’ নিয়ে আসতে চলেছেন পরিচালক। ‘এবার শবর’, ‘ঈগলের চোখ’ এবং ‘আসছে আবার শবর’-এর পরে আরও একবার বড় পর্দায় শবর দাশগুপ্ত হিসেবে দেখা যাবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে, সহকারী নন্দের ভূমিকায় শুভ্রজিৎ দত্ত। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘তীরন্দাজ’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হবে এই ছবির চিত্রনাট্য, যা অরিন্দম ও পদ্মনাভ দাশগুপ্ত মিলে লিখবেন। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে বিক্রম ঘোষ।
শীর্ষেন্দুর লেখা শবর কাহিনিগুলির মধ্যে এই উপন্যাসটি এখনও কোনও সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। স্রষ্টা নিজেও প্রায় ভুলতে বসেছিলেন দীর্ঘ দিন আগে লেখা এই শবর-উপন্যাসটি। গত মার্চে পুরনো লেখা ঘাঁটতে গিয়ে লেখকের হাতে আসে এই কাহিনি। তার পরেই অরিন্দমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি এবং বিস্মৃতপ্রায় সেই উপন্যাস থেকে ছবি করার কথা ভাবেন পরিচালক। ‘‘এই শবর আগের কাহিনিগুলোর চেয়ে একেবারেই অন্য রকম ভাবে ধরা দেবে, তাই নামেও সেই আভাস রেখেছি। শবরকে নিয়ে এ বার একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই,’’ বললেন অরিন্দম। ‘অন্য শবর’-এর কাহিনিতে উঠে আসবে কলকাতা শহর, একইসঙ্গে তার বিলাসবহুল ও ঘিঞ্জি দুই দিক এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ক্লাস স্ট্রাগল। অন্য কাহিনিগুলির মতোই একটি খুনের তদন্তে নেমে রহস্য ঘনীভূত হবে এখানেও। রয়েছে প্রেম, অ্যাকশনও দেখা যাবে কমবেশি। ‘‘তবে এই শবর আগের চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচিওরড। শুধুই এক বাড়ির ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফিয়ে কিংবা
অপরাধীকে ধাওয়া করে সে রহস্যের সমাধান করে না,’’ বললেন অরিন্দম। লেখকের মতে এ বারের শবর-কাহিনিতে মনস্তত্ত্বের জট ও তা ছাড়ানোর পর্ব অনেক বেশি। ‘‘লকআপে থার্ড ডিগ্রি দিয়ে কথা আদায়ের চেয়ে অপরাধীর মনের গতিবিধির উপরে বেশি ভরসা রাখে শবর। আর গোয়েন্দাগিরির পাশাপাশি এই গল্পের সামাজিক ও মানবিক প্রেক্ষাপটটিও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। শহরের এক সময়ের অভিজাত পরিবার এখন সব হারিয়ে বস্তিবাসী, তাদের স্ট্রাগলও রয়েছে এ গল্পে,’’ বললেন লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।