ভারতীয় সিনেমার রূপরেখা বদলে দিয়েছিল এই সিনেমা। ছবির প্রতিটি চরিত্র এখন গেঁথে রয়েছে দর্শক হৃদয়। রমেশ সিপ্পির পরিচালনায় ১৯৭৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘শোলে’। জয়-বীরুর বন্ধুত্ব, বাসন্তীর প্রাণোচ্ছল অভিনয়, গব্বরের আতঙ্ক— সব মিলিয়ে ‘শোলে’ হিন্দি সিনেমার জগতে মাইল ফলক, তা বলাই যায়। এ বার সেই ছবি মুক্তির ৫০ তম বর্ষ। এখনও পুরনো হয়ে যায়নি ‘শোলে’, আজও আলোচনার শেষ নেই।
তারকাখচিত এই ছবি সেই সময় সর্বাধিক আয় করে বক্স অফিসে। এক দিকে ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ বচ্চন, জয়া ভাদুড়ি, অন্য দিকে সঞ্জীব কুমার, আমজ়াদ খান— ‘ব্লকবাস্টার’ ছবির জন্য কোন তারকা পেয়েছিলেন কতটা টাকা?
‘শোলে’ ছবির মুক্তি নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল। ১ কোটি টাকা বাজেট নিয়ে এই ছবির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ছবিটি তৈরি করতে দু’বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। ফলে বাজেট বেড়ে যায় প্রায় তিন গুণ। তার উপর জরুরি অবস্থা, ছবিটি আদৌ বক্স অফিসে সাড়া ফেলবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন পরিচালক-প্রযোজকেরা। মুক্তির সময় কোনও অশান্তি হবে কি না, তা নিয়েও ভয়ে ছিলেন তাঁরা। তবুও, এমন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট মুক্তি পায় ‘শোলে’। ছবির প্রতিটি সংলাপ জনপ্রিয়তার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, আলাদা ভাবে সংলাপের জন্য অডিয়ো ক্যাসেট ও রেকর্ড প্রকাশ করতে বাধ্য হন প্রযোজক-পরিচালকরা। ক্যাসেট মুক্তির পর প্রায় পাঁচ লক্ষ অডিও ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল। ৭০-এর দশকের সর্বাধিক বিক্রিত অডিও ক্যাসেট ছিল এটি।
‘শোলে’-র চরিত্রগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পায় আমজ়াদ খান অভিনীত খলনায়ক ‘গব্বর সিংহ’। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি পান ৭৫,০০০ টাকা। জয়-বীরুর বন্ধুত্ব আজও সারা দেশে দৃষ্টান্ত হিসাবে পরিগণতি হয়। এই ছবিতে সর্বাধিক পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ‘বীরু’ ধর্মেন্দ্র, প্রায় দেড় লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। অমিতাভ বচ্চন পেয়েছিলেন ১ লক্ষ টাকা। ‘ঠাকুর বলদেব সিংহ’-এর চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করেন বলি অভিনেতা সঞ্জীব কুমার। অমিতাভের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি।এই ছবিতে অভিনয় করে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন সঞ্জীব। ছবিতে অমিতাভের তুলনায় ২৫ হাজার কম পেয়ে হেমামালিনী আয় করেন ৭৫ হাজার টাকা। এই ছবিতে একটিও সংলাপ ছিল না জয়া বচ্চনের। তিনি পেয়েছিলেন সব থেকে কম পারিশ্রমিক। সেই সময় ৩৫ হাজার টাকা পান তিনি।