দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ছবি: সংগৃহীত।
পঞ্জাবি গান গেয়ে প্রথম নজরে আসেন শিল্পী দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ২০০২ সালে ‘দিল’ অ্যালবাম দিয়ে শুরু দিলজিতের সুরের সফর। পরে অভিনয়ের জগতেও পা রাখেন পঞ্জাবি এই গায়ক। বলিউডে দিলজিতের হাতেখড়ি ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবির মাধ্যমে। এর পর ‘ফিলৌরি’, ‘সুরমা’র মতো ছবিতেও কাজ করেন দিলজিৎ। তবে তাঁর গানে এখন বুঁদ গোটা ভারত। এমনকী অম্বানীদের বাড়ির বিয়েতে আসর জমান এই পঞ্জাবি গায়ক। বিট্রিশ পপ তারকা এড শেরন মুম্বইতে অনুষ্ঠানে এসে দিলজিতের সঙ্গে তাঁর গাওয়া ‘তেরা নি ম্যায় লভর’ গানটি গান। গত বছর কোচেলা মিউজ়িক ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করেন তিনি। এই মুহূর্তে তাঁর গানেই পা মেলাচ্ছে জ়েন জ়ি। শোনা যায় বৈভবের দিক থেকে নাকি তিনি ছাপিয়ে যান অনেক বলিউড তারকাকেও। তবে আজকের এই সফল তারকা নাকি মাত্র ১১ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়েন। বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায় ছোট বয়সে।
১৯৮৪ সালে পঞ্জাবে দোসাঞ্জ কালনা গ্রামে জন্ম দিলজিতের। এই মুহূর্তে বয়স তাঁর ৪০ ছুঁইছুঁই। গানের পাশপাশি অভিনয় কেরিয়ারও চলছে পাল্লা দিয়ে। কিন্তু মাত্র ১১ বছর বয়সে নিজের গ্রাম ছেড়ে চলে আসেন লুধিয়ানায়। পড়াশোনা করেন কি না সেই খোঁজটুকু নেয়নি তাঁর বাবা-মা। কারণ হিসেবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দিলজিৎ বলেন, ‘‘আমার তখন ১১ বছর বয়স। বাড়ি ছেড়ে আমার মামার বাড়ি চলে আসি। মা একবার শুধু বলেছিল ওকে নিয়ে যাচ্ছি আমার সঙ্গে। ব্যস, আমার মা-বাবও ছেড়ে দিল।’’
তার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ আলগা হতে শুরু করে দিলজিতের। তবে মা-বাবার প্রতি সম্মান এখনও একই রয়েছে। গায়ক জানান, তাঁর বাবা খুবই সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। তাঁরা কখনও জিজ্ঞেসও করেননি কোথায় আছেন তিনি। আদৌ স্কুলে পড়েন কি না! তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হতে শুরু করে পরিবারের সঙ্গে। এখন একাই থাকেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy