প্রস্তুত ছিলেন না। এক অভিনেতার সঙ্গে চুম্বন দৃশ্যে একরকম বাধ্য হয়েই রাজি হতে হয়েছিল ফারহা খানকে। সম্প্রতি নিজের ভ্লগে জানিয়েছেন পরিচালক তথা প্রযোজক।
বিভিন্ন তারকাদের বাড়িতে গিয়ে আড্ডা দেন ফারহা। সেটাই নিজের ভ্লগে তুলে ধরেন। সম্প্রতি গিয়েছিলেন গায়ক শানের বাড়িতে। সেখানে শানের সঙ্গে ১৯৯২ সালের ছবি ‘যো জিতা ওহি সিকন্দর’ নিয়ে আলোচনা করছিলেন ফারহা। সেই ছবিতে জুনিয়র নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছিলেন ফারহা। কিন্তু প্রথমে সহ-পরিচালক হিসেবে এই ছবিতে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
ফারহা বলেন, “আমি আসলে সহ-পরিচালক হিসেবে যোগ দিই। তার পরে দেখা যায়, নৃত্যশিল্পীর অভাব রয়েছে। তখন আমি কোরিয়োগ্রাফিতে সাহায্য করতে শুরু করি। যখনই কোনও নৃত্যশিল্পী অনুপস্থিত থাকতেন, সেই জায়গায় আমাকে ঠেলে দেওয়া হত।”
এই ভাবেই অভিনেতা দীপক তিজোরির সঙ্গে একটি চুম্বন দৃশ্যে সম্মত হতে বাধ্য হন ফারহা। তিনি বলেন, “একটা দৃশ্য ছিল ছবিতে, যেখানে দীপক তিজোরি আমার গালে চুমু খাবেন। আসলে ওই দৃশ্যে যে মেয়েটির থাকার কথা ছিল, তিনি রাজি হননি। তাই আমাকে করতে হয়েছিল ওই দৃশ্যটি।”
এই শুনে হেসে ওঠেন শান। পারিশ্রমিক নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। শান বলেন, সেই ছবির জন্য প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে পেতেন। অন্যেরা পেতেন ৭৫ টাকা করে। এই শুনে চমকে ওঠেন ফারহা খান। তিনি বলেন, “আরে, তুমি পারিশ্রমিক পেয়েছিলে? আমি তো কোনও পারিশ্রমিকই পাইনি। কিন্তু ওই ছবিটা আমাকে যা যা দিয়েছে তা কোনও চেক দিতে পারত না। ওই ছবিটা আমার জীবন বদলে দিয়েছিল।”