Advertisement
E-Paper

টলিউডের মেন্টররা

সায়ন্তন পরিচালনার দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন পরে। আবার সায়ন্তন যখন ওয়েবের জন্য ব্যোমকেশের সিরিজ় তৈরি করছিলেন, তখন তাঁকে সাহায্য করেছিলেন অরিন্দম শীল। ব্যোমকেশ হিসেবে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের লুক কেমন হবে, তা-ও বলে দিয়েছিলেন অরিন্দম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ০০:১০
নতুনদের ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে আসা, তাদের এগিয়ে দেওয়াই তো সিনিয়রদের কাজ : অরিন্দম শীল

নতুনদের ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে আসা, তাদের এগিয়ে দেওয়াই তো সিনিয়রদের কাজ : অরিন্দম শীল

বড়দের হাত ধরেই ছোটরা শেখে। তারপর নিজের জায়গা করে নেয়। এ কথা প্রযোজ্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও। বলিউডের মতো টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও মেন্টরশিপের পথে হাঁটছে বেশ কিছু সময় ধরে। অগ্রজরা হাতে ধরে শিখিয়েছেন, ইনপুট দিয়েছেন, তবেই জায়গা পাকা করেছেন এ প্রজন্মের পরিচালকরা— এমন উদাহরণ পাওয়া যাবে টলিউডেও।

আসন্ন ব্যোমকেশের কথাই ধরুন। পুজোয় আসছে সায়ন্তন ঘোষাল নির্দেশিত প্রথম ব্যোমকেশের ছবি। এ ছবিতে আগাগোড়া পরিচালককে মেন্টর করেছেন অঞ্জন দত্ত। সত্যজিৎ রায়ের ‘চিড়িয়াখানা’র পর যিনি এ প্রজন্মের সঙ্গে প্রথম বার ব্যোমকেশকে পরিচয় করিয়েছিলেন বড় পর্দায়। আসন্ন পুজোয় পরমব্রতকে নিয়ে ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’-এর আগাগোড়া পরিকল্পনা প্রথমে করেছিলেন অঞ্জন। সায়ন্তন পরিচালনার দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন পরে। আবার সায়ন্তন যখন ওয়েবের জন্য ব্যোমকেশের সিরিজ় তৈরি করছিলেন, তখন তাঁকে সাহায্য করেছিলেন অরিন্দম শীল। ব্যোমকেশ হিসেবে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের লুক কেমন হবে, তা-ও বলে দিয়েছিলেন অরিন্দম।

শুধু সায়ন্তন নয়, টলিউডে সোনাদা অ্যান্ড কোম্পানির আমদানি করেছিলেন যে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়, তার নেপথ্যেও ছিলেন অরিন্দম শীল। ধ্রুবর প্রথম ছবি ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’র ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ছিলেন অরিন্দম। ইন্ডাস্ট্রির গলিঘুঁজি ধ্রুবকে চিনিয়ে দেওয়ার পিছনেও ছিল তাঁর অবদান। ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’-এর পর এখন দর্শকের মনে পাকাপাকি জায়গা করে ফেলেছে সোনাদা, আবীর, ঝিনুকরা। মেন্টরশিপের ব্যাপারে অরিন্দমের বক্তব্য, ‘‘নতুনদের ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে আসা, তাদের এগিয়ে দেওয়াই তো সিনিয়রদের কাজ।’’ এখন ‘ষড়রিপু টু-জতুগৃহ’র পরিচালক অয়ন চক্রবর্তীকে মেন্টর করছেন তিনি। পরবর্তী কিরীটীর লুকও তিনিই ঠিক করবেন বলে কথা হয়ে আছে‌।

অঞ্জন-সায়ন্তন

অনুরাগ কাশ্যপ বা কর্ণ জোহরের পথে হেঁটেছেন এখানে অরিন্দম শীল, অঞ্জন দত্তরা। অনুরাগ কাশ্যপ ছিলেন বলেই পরবর্তীকালে একটা ‘মাসান’ তৈরি করতে পেরেছিলেন নীরজ ঘেওয়ান। অভিষেক বর্মন, শশাঙ্ক খৈতান, পুনিত মলহোত্ররা বলিউডে জায়গা করে নিয়েছেন কর্ণ জোহরের হাত ধরেই। বাংলায় সত্যজিৎ-মৃণাল পরবর্তী সময়ে ঋতুপর্ণ ঘোষকে গুরু হিসেবে মানতেন টালিগঞ্জের অনেক নবাগতই। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় যেমন প্রথম থেকেই বলে আসছেন, ঋতুপর্ণ ঘোষকে শিক্ষক হিসেবে মানেন তিনি।

অনেক নবাগতও অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নেন সিনিয়রদের প্রতি। ‘মুখার্জীদার বউ’-এর পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী যেমন তাঁর ছবির সাফল্যের নেপথ্যে বলেন নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকার কথা। আবার মৈনাক ভৌমিক এ প্রজন্মের পরিচালক হয়েও মেন্টর করেছিলেন সাব্বির মল্লিককে, ‘ভূত চতুর্দশী’র জন্য। টলিউড এখনও হাত ধরে শেখাতে জানে পরের প্রজন্মকে।

tollywood bollywood directors mentors
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy