অর্জুন এবং মেহের।
দীর্ঘ ২০ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক শেষ করে দিলেন বলি অভিনেতা অর্জুন রামপাল এবং তাঁর স্ত্রী মেহের জেসিয়া। গত সোমবার তাঁদের এই যৌথ সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই অনুরাগীদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, কেন এই ভাঙন?
ছ’মাস আগেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন এই প্রাক্তন দম্পতি। বলি মহলের খবর, চার মাস আগে বা়ড়ি থেকে বেরিয়ে যান অর্জুন। আলাদা একটি বাংলো ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করেন। দুই মেয়ে মাইরা এবং মাহিকাকেও এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। মেয়েদের মেনে নেওয়ার জন্যই এতদিন অপেক্ষা করছিলেন এই সেলেব কাপল।
শোনা যায়, ২০১১-এ শুরুর দিকেই নাকি এই সম্পর্কে ভাঙন ধরে। সে সময় মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে এসেছিলেন শাহরুখ খান। বলিউডের এক সূত্রের দাবি, সে সময় কোন ছবিতে কত পারিশ্রমিক নেবেন অর্জুন সে বিষয়েও মেহের মাথা ঘামাতেন। আর এ সব নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত।
আরও পড়ুন, কলকাতা ছাড়লেন রাজ-শুভশ্রী, তবে কি হনিমুন?
বলি পাড়ায় মেহেরের বন্ধু হিসেবে পরিচিত গৌরী খান, সুজান খান প্রমুখ। সে বন্ধুত্বেও নাকি চিড় ধরতে শুরু করে। এমনও শোনা গিয়েছিল, ফারদিন খানের আয়োজন করা এক পার্টিতে সুজানের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েও এড়িয়ে যান মেহের।
আবার অন্য একটি মহলের মত, হৃতিক-সুজানের বিবাহবিচ্ছেদের কারণও নাকি অর্জুন রামপাল। সে সময় সুজানের সঙ্গে অর্জুনের সম্পর্ক নিয়েও ইন্ডাস্ট্রিতে গসিপ শুরু হয়। অর্জুন এবং সুজান নাকি গোপনে দেখা করতেন, তা মেহের জানতে পেরে যান। ফলে অনেকে মনে করেন, অর্জুন-মেহেরের ডিভোর্সের পিছনেও এই কারণও রয়েছে।
আরও পড়ুন, ‘সৃজিত বলত, পাক্কা আছে…’
বিচ্ছেদের যৌথ বিবৃতিতে অর্জুন-মেহের বলেন, ‘‘ভালবাসায় পরিপূর্ণ এবং সুখের স্মৃতিতে ভরপুর দীর্ঘ ২০ বছরের এই সম্পর্ক থেকে আমরা আলাদা হচ্ছি। আমরা মনে করি, এখন থেকে আমাদের রাস্তা আলাদা। তবে আমরা একে অপরের পাশে এবং আমাদের সন্তানদের পাশে সব সময় থাকব। এটা আমাদের ভীষণই ব্যক্তিগত বিষয়, তবুও আমরা যৌথ বিবৃতি দিলাম। এটাই আমাদের জীবনের বর্তমান পরিস্থিতি। আমরা একটা পরিবার। একে অপরের প্রতি এবং অবশ্যই আমাদের দুই সন্তান মাহিকা এবং মাইরার প্রতি আমাদের ভালবাসা সব সময়ই থাকবে। পাশে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সম্পর্ক শেষ হতে পারে, কিন্তু ভালবাসা বেঁচে থাকে। এ বিষয়ে আমরা আর কোনও মন্তব্য করব না।’’
নিজেরা মন্তব্য করতে না চাইলেও অর্জুন-মেহেরের ভাঙা সম্পর্ক নিয়ে এই কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে নানা মহলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy