Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
বললেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত।
BJP

‘টাকা পেয়েছি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব’

রাজনীতি আমার কাছে প্রথম প্রায়রিটি। তাই এখন থেকে বছরে দুটোর বেশি ছবি করব না।

যশ।

যশ।

 ঈপ্সিতা বসু
শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২১ ০৬:২২
Share: Save:

প্র: স্কুল-কলেজে কখনও রাজনীতি করেছেন?

উ: আগে কখনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হওয়ার কারণ, রাজনীতি সম্পর্কে আমার অনেক ভুল ধারণা ছিল। কিন্তু এখন মনে হয়েছে, কোনও সিস্টেমে বদল আনতে চাইলে, তার মধ্যে নিজেকে ঢুকতে হবে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে স্পিরিট আছে, উৎসাহ আছে। আমরাই পারব পরিবর্তন আনতে।

প্র: কোন লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন?

উ: দর্শকের ভালবাসা পেয়ে তারকা হয়েছি। প্রতিদানে জনগণের জন্য ভাল কাজ করার ইচ্ছে নিয়ে দলে যোগ দিয়েছি। মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমার রাজ্যের আরও উন্নয়ন করাই আমার উদ্দেশ্য।

প্র: তার জন্য বিজেপিকে বাছলেন কেন?

উ: এই দল নতুন প্রজন্মের উপরে বিশ্বাস রাখে, ভরসা করে। দলের বৈঠকে বলা হয়েছে, ‘তুমি পার্টির জন্য কাজ করছ না, দেশের জন্য কাজ করছ।’ এই স্বাধীনতা বিজেপি থেকে পেয়েছি। তাদের লক্ষ্য, পরিণত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তির চালনায় নতুন প্রজন্ম এগিয়ে নিয়ে যাবে আগামীর ভারতবর্ষকে। এই নীতিই আমাকে রাজনীতিতে টেনে এনেছে।

প্র: কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির গুঞ্জন তো অন্য। শোনা যাচ্ছে, টাকার বিনিময়ে আপনি পার্টিতে যোগ দিয়েছেন?

উ: অভিনেতা হিসেবে আমি ভালমতোই রোজগার করছি। ব্যাঙ্ক ডিটেলসও পাঠানোর হিম্মত রাখি। দল থেকে এক টাকাও পেয়েছি প্রমাণ করতে পারলে, রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু যারা আমার টাকা পাওয়া নিয়ে অভিযোগ আনছে, তারা নিজেদের ব্যাঙ্ক ডিটেলস পাঠানোর সাহস রাখে তো?

প্র: এ-শোনা গিয়েছে, তৃণমূল থেকে টিকিট পাবেন না জানার পরেই বিজেপিকে বেছেছেন?

উ: প্রথম থেকে একটি মাত্র রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই আমার রাজনীতিতে আসা নিয়ে কথা হয়েছে। অন্য কোনও পার্টিতে যাওয়ার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র চিন্তাভাবনা ছিল না মনে।

প্র: রাজনীতি অভিনয় একসঙ্গে সামলানো সহজ নয়...

উ: রাজনীতি করলে অভিনয়ের ক্ষতি হবে বলে মনে করি না। মায়ের কাছে মাল্টিটাস্কিং শিখছি। আশা করি, দুটো জায়গাই সমান ভাবে ধরে রাখতে পারব। তবে রাজনীতি আমার কাছে প্রথম প্রায়রিটি। তাই এখন থেকে বছরে দুটোর বেশি ছবি করব না।

প্র: বিজেপিতে যোগদান করা নিয়ে প্রিয় বন্ধু নুসরতের সঙ্গে আলোচনা করেননি?

উ: আমি কোন দলে যোগ দেব, পুরোপুরি নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের দু’জনের আইডিয়োলজি ভিন্ন। নুসরতের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অনেক দিনের। ‘এসওএস কলকাতা’র সূত্রে আমাদের বন্ধুত্ব নয়। তবে প্রতিটি সম্পর্কের একটা এক্সপায়ারি ডেট থাকে। আমাদের সেই ডেট আসে না কি সারা জীবন এই বন্ধুত্ব রয়ে যায়, তা সময় বলবে।

প্র: আপনাদের বন্ধুত্ব ইন্ডাস্ট্রিতে তুমুল আলোচিত। এও বলা হচ্ছে, নুসরত-নিখিলের সম্পর্কের মাঝে আপনি এসে গিয়েছেন...

উ: নুসরত ও নিখিলের সম্পর্কের মাঝে আমাকে টানবেন না প্লিজ়। নুসরত নিজেই স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, ওঁর বিয়ে ভাঙেনি। যদি তার পরেও কোনও দ্বিধা তৈরি হয়, তা হলে সরাসরি নুসরত বা নিখিলের কাছে প্রশ্ন রাখুন, তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ কী? নুসরত আর নিখিলের সম্পর্কের মাঝে আমাকে নিয়ে যে ভাবে টানাটানি চলছে, তা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়।

প্র: কাস্টিং ডিরেক্টর পুনম ঝায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব কি এখনও আছে?

উ: আমার কারও সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। এর চেয়ে বেশি এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না।

প্র: শ্রাবন্তী, পায়েলও সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করলেন। ওঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে?

উ: একটা বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে কলকাতার বাইরে ছিলাম। গতকাল ফিরেছি। তাই শ্রাবন্তী বা পায়েলের সঙ্গে দেখা বা কথা হয়নি। আর দলে কে যোগদান করবেন, সেটা আগে থেকে জানানো হয় না।

প্র: যদি আপনাকে প্রার্থী করা হয়, তার জন্য নিজেকে কী ভাবে তৈরি করছেন?

উ: আমি শুধু দলের হয়েই কথা বলতে চাই না। একজন নাগরিক হিসেবে রাজ্যের সমস্যাগুলোকে তুলে ধরতে চাই। যেমন, দুর্গাপুজোয় ডোনেশন দেওয়া হয় পাড়ার ক্লাবগুলোতে। সেই টাকা বাঁচিয়ে ক্লাবগুলো পাড়ায় ছোট লাইব্রেরি গড়লে, অনেক ছেলেমেয়ের পড়াশোনার সুবিধে হয়। রাজ্য থেকে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা, চাকরির জন্য অন্য রাজ্যে যাচ্ছে। তাই রাজনীতির ‘খেলা হবে’তে না গিয়ে উন্নয়নমূলক ভাবনাচিন্তায় ফোকাস করতে চাই।

প্র: যদি জেতেন, প্রথম কাজ কী হবে?

উ: আমি জিতলে শুধু একজন নেতা হয়ে থাকতে চাই না। ঘরের ছেলে হতে চাই। এলাকার বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সমস্যার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, সমাধান করতে চাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP West Bengal Assembly Election 2021
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE