Advertisement
E-Paper

দেবপক্ষ

সিনেমা। রাজনীতি। শুভশ্রী। ডিপ্লোমেসি। জিৎ। ঠান্ডা মাথায় স্টেপআউট করলেন দেব। সামনে ইন্দ্রনীল রায়তাঁর নতুন ফ্ল্যাটের ড্রয়িং রুমের লাগোয়া ঘরটাই এখন মিটিং বা সাক্ষাৎকার দেওয়ার ঘর। সুসজ্জিত ঘরে এবিপি আনন্দ আর সপ্লিট এসি— দু’টোই গাঁকগাঁক করে চলছে। কালো সোয়েট শার্ট পরে ঘরে ঢুকে টিভির ভল্যুম কমিয়ে শুরু হল আড্ডা...

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৪১

তাঁর নতুন ফ্ল্যাটের ড্রয়িং রুমের লাগোয়া ঘরটাই এখন মিটিং বা সাক্ষাৎকার দেওয়ার ঘর। সুসজ্জিত ঘরে এবিপি আনন্দ আর সপ্লিট এসি— দু’টোই গাঁকগাঁক করে চলছে। কালো সোয়েট শার্ট পরে ঘরে ঢুকে টিভির ভল্যুম কমিয়ে শুরু হল আড্ডা...

পুজোর কী প্ল্যান? রুক্মিণীর সঙ্গে কোন কোন কোন ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন সুপারস্টার দেব?

(হাসি) সত্যি কোনও প্ল্যান নেই। পুজোর সময় আমি কিন্তু বাড়িতে বসে আড্ডা মারার পক্ষপাতী।

গিফ্ট কেনা হল? শুভশ্রীর সঙ্গে ছবি করছেন, কিছু কিনলেন ওঁর জন্য?

কিছু কিনিনি। (হাসি) প্লিজ, এ বার একটু সিরিয়াস প্রশ্ন হতে পারে কি?

শিওর। শেষবার যখন আপনার ইন্টারভিউ করেছিলাম, তখন সাক্ষাৎকার শেষে আপনি আক্ষেপ করেছিলেন নব্বই পার্সেন্ট পলিটিক্সের প্রশ্ন ছিল। টেন পার্সেন্ট ছবি নিয়ে। আট মাসে ছবিটা কি পাল্টেছে?

হান্ড্রেড পার্সেন্ট পাল্টেছে। ইন্টারভিউয়ের জন্য রেকর্ডার অন করার আগে আপনার সঙ্গে কী নিয়ে কথা হচ্ছিল? ছবি আর ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তো! তা হলে?

মানে জীবনটা আবার বদলেছে?

হ্যাঁ, প্রচুর বদলেছে। দেব হয়ে একটা দিন কাটান না? বুঝতে পারবেন ব্যাপারটা কী ডিফিকাল্ট। আজকে আমাকে যদি কেউ বলে দেব হতে হবে, আমার ভয় লাগবে...

কেন?

এত কিছু সামলানো। কাজ, পলিটিক্স, মিটিং... কোনও শেষ নেই। তবে আগের থেকে ব্যাপারগুলো অনেক সেটল ডাউন করে গেছে। লোকে এটাও বুঝতে পেরেছে এমপি মানেই শুধু পলিটিশিয়ান নয়। তাদের কাছে আমি এখনও অভিনেতা এবং এন্টারটেইনার দেব। তারা আমাকে ভালমানুষ হিসেবেই মনে রাখুক, এটাই কাম্য। আর এত ব্যস্ত থাকি, জীবন পাল্টে যাওয়া-টাওয়া নিয়ে আর বিশেষ ভাবি না।

এই দেড় বছরে সবচেয়ে বড় শিক্ষা কী পেয়েছেন?

একটা জিনিস বুঝেছি ভাই। কেউ যদি টাকা চায়, টাকা দিয়ে দাও। কিন্তু কাউকে জ্ঞান দিতে যেও না। যাকে জ্ঞান দেবে সে-ই পরে গালাগালি দেবে।

একটা সময়ে আপনার জীবন ছিল টেকনিশিয়ান্স থেকে ভারতলক্ষ্মী স্টুডিয়ো পর্যন্ত। সেখানে থেকে আজকে লন্ডন কালকে নবান্ন...

জীবনটা পাল্টায়নি, শুধু সার্কেলটা বড় হয়েছে। আমাকে সে দিন একজন বলেছিলেন, আমার কেরিয়ারের বেস্ট দিক হল আমি নিজেকে শুধু ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে আটকে রাখিনি। আজকে যদি সিএম-এর সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসে যাওয়ার সুযোগ পাই, সেটা তো প্রেস্টিজিয়াস অ্যাচিভমেন্ট। ক’জন পায়? তাই কমপ্লেন নেই কোনও।


দেব-জিৎ

সালকিয়ার ওই ফ্ল্যাট থেকে বাকিংহাম প্যালেস — আজও ফেয়ারি টেল মনে হয় না ব্যাপারটা?

একদম ফেয়ারি টেল।

লোকে এটাও বলে বড় বড় ডিপ্লোম্যাটের দেবের কাছ থেকে ‘আর্ট অব ডিপ্লোমেসির’ ক্লাস নেওয়া উচিত...

(হাসি) কী করলাম আমি!

এক দিকে মুখ্যমন্ত্রী, অন্য দিকে মিডিয়া হাউজ... তার সঙ্গে শ্রীকান্ত মোহতা... আর্ট অব ব্যালেন্সিংয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তো আপনি...

একটা কথা বলি তা হলে খোলাখুলি। কী করে পারি জানেন? এই মানুষগুলোর কাছে অ্যাডভান্টেজ চাই না। ছোঁক ছোঁক করি না এটা চাই, ওটা চাই বলে... নিজে ভুল করলে এই মানুষগুলোকে গিয়ে সত্যিটা বলতে পারি। কোনও ইগো ছাড়া এটাও জানাতে পারি ‘‘বিপদে পড়েছি, আমাকে বাঁচান।’’ ওঁরাও হয়তো এই অনেস্টিটা দেখতে পান আমার মধ্যে।

এই ক’মাসে ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। শ্রীকান্ত মোহতাকে কেন্দ্র করে টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রি প্রায় ডিস্টেবিলাইজ্ড হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে কোনও দিন কথা হয়নি আপনার সঙ্গে?

না, আমার সঙ্গে কথা হয়নি।

দেব, এই কথা কেউ মানবে?

না, সত্যিই হয়নি। আমি ওকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু সবার একটা নিজস্ব স্পেস দরকার।

আপনি কোনও দিন বলেননি উনি ভুল করেছেন?

না, বলিনি। বললাম না, আমি স্পেস দেওয়াতে বিশ্বাস করি। শ্রীকান্ত যা করেছিল সেটা নিজের বিচারবুদ্ধিতে। ও নিজে সেন্সেবল। সেই পরিস্থিতি থেকে কী করে বেরোতে হবে, সেটাও নিশ্চয়ই ওর জানা আছে। তবে ওকে নিয়ে আমার দুশ্চিন্তা ছিল। আপনাকে এবং আপনাদের বিভাগীয় সম্পাদককে অনুরোধ করছি এই লাইনটা প্লিজ লিখবেন, কেটে দেবেন না।

উনি তো আপনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন?

নট রিয়েলি।

আচ্ছা এ বার অন্য জগতে ফিরি। অভিনেতার সঙ্গে সঙ্গে তো কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘ধূমকেতু’র প্রোডিউসরও হয়ে গেলেন আপনি?

আমি বিশ্বাস করি একটা ছবিতে কেউ প্রোডিউসর হলেই তাকে প্রোডিউসর বলাটা ঠিক নয়। আজকে ভেঙ্কটেশ কী সুরিন্দর ফিল্মস হল প্রোডিউসর, টু অ্যান এক্সটেন্ট অশোক ধানুকা প্রোডিউসর।

অশোক ধানুকার সঙ্গে আজও রোজ কথা হয়। অশোকজির জন্য আমি অনেক খেটেওছি। কিন্তু কোথাও মনে হয় উনি অন্যকে হারানোর খেলায় নেমেছেন, নিজেকে ইমপ্রুভ করছেন না। তবে ওরা সবাই দশ-কুড়ি বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে। আমি কিন্তু ‘ধূমকেতু’র প্রোডিউসর হয়েছি যাতে ছবিটার ভাল হয়।

এ বারে পুজোতে পাঁচ-পাঁচটা বাংলা ছবি হচ্ছে। প্রোডিউসর দেব এতে খুশি?

খুব খুশি। পাঁচটা ছবি মানে একটা ব্যুফের মতো। প্রত্যেকটা ছবির কনটেন্ট ভাল। যার যেটা ভাল লাগবে, সে সেটা দেখবে।

ব্যুফের প্রবলেম আছে কিন্তু একটা। খুব ভাল চিংড়ির ডিশ হয়তো ভিড়ে দেখতেই পেল না মানুষ...

তাই জন্যই তো এত পাবলিসিটি। আলটিমেটলি সারভাইভ্যাল অব দ্য ফিটেস্ট। আর সবাই তো বন্ধু। যিশু বন্ধু। ব্যোমকেশ ওর লাইফটাইম রোল। ‘ক্রস কানেকশন’‌য়ের রাজ কুমার গুপ্ত-র সঙ্গে আমি বিজ্ঞাপন করেছি। ও-ও বন্ধু। রাজ ইজ আ বাডি। সৃজিত বন্ধু। ‘কাটমুন্ডু’র শ্যামসুন্দরের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক। সঙ্গে আমার ছবি ‘শুধু তোমারই জন্য’ তো আছেই।

সবাই বন্ধু ঠিকই কিন্তু সব বন্ধু তো জিতবে না...

সে তো যে যার দমে যা করতে পারবে। আমার যেটা ভাল লাগছে, তা হল পুরো পশ্চিমবঙ্গে কোনও হিন্দি ছবির পোস্টার নেই। সব বাংলা ছবি। এতে সবার ভাল। কালকে শ্যামসুন্দর কী রাজকুমারের ছবি চললে তো আমার ভাল।

কী করে?

বাহ্, ভাল না! ওদের ছবি চললে ওরা আবার ইন্ডাস্ট্রিতে ইনভেস্ট করবে। আমি কাজ পাব। শ্যামের সঙ্গে ছবি নিয়ে কথা হয়েছে।

এ বার একটু শুভশ্রী প্রসঙ্গে ফিরি?

এই তো! জিও ! বলুন? (পা তুলে বসে)।

দেব-শুভশ্রী ব্যাক?

(হাসি) হ্যাঁ, ব্যাক। ট্রিপ ডাউন মেমরি লেন পুরোটা। আজকে একটা কথা অ্যাডমিট করছি। চার বছর যে আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়েছে, তার মধ্যে ওকে নিয়ে আমার একটা দুশ্চিন্তা ছিল। কী কাজ করছে? এই ছবিটা কেন করল?
একটা চিন্তা থাকত। ঠিক যেমন শ্রীকান্তকে নিয়ে চিন্তা করতাম, তেমনই শুভশ্রীকে নিয়েও করতাম। আমার ধারণা ওর-ও ছিল একটা কনসার্ন। আর আজকে একটা কথা স্বীকার করছি...

কী?

শুভশ্রীর মনে আছে কি না জানি না। কিন্তু ‘খোকা ৪২০’‌য়ের সময় ওকে আমি বলেছিলাম, যদি কোনও দিন আমি প্রোডিউসর হই তা হলে যে হিরোইনকে প্রথম ছবিতে নেব, সেটা শুভ। আমি কথা রেখেছি কিন্তু। ওর যদি বিয়ে হয়ে বাচ্চাও হয়ে যেত, তাও আমি ওকেই হিরোইন করতাম।

যে দিন আনন্দplus-এ প্রথম খবর বেরোয় সে দিন আপনি বলেছিলেন, স্টোরি বেরোনোর পরেই কিছু ‘দাদা’ ওকে ফোন করে ছবি অফার করবে।

(হাসি) হ্যাঁ, কিন্তু দু’দিনের মধ্যেই যে আমার প্রেডিকশন ফলে যাবে, সেটা বুঝিনি। করেছিল কিছু দাদা ওকে ফোন।

একজন দাদা তো জিৎ।

(হাসি) সব সময় নাম বলতে হয় নাকি! আমি তখন ব্যাঙ্ককে। শুভ ফোন করল। বলল, ওকে কেউ কেউ ছবি অফার করছে। আমি শুনে বলেছিলাম পুরো ডিসিশনটাই ওর নিজের। ও যেটা ঠিক বুঝবে, তাই যেন করে। এটা চাইনি, আমার শ্যুটিংয়ে ও মনমরা হয়ে থাকুক। ওকে বলেছিলাম আমি রিপ্লেসমেন্ট দেখে নেব, কৌশিকদা কী রানা সরকারকেও বুঝিয়ে দেব।

তারপর?

তারপর শুভ পরের দিন নিজেই জানালো, ও ওই ছবিটা করছে না। আমি ডেস্টিনিতে বিশ্বাস করি। এটুকু জানি, যদি ওকে আমি ভাল কামব্যাক না দিতে পারি তা হলে ও এমনিই চলে যাবে। আমার আর কৌশিকদার কাজ ওকে ভাল রোল দেওয়া। আর ওর কাজ হল কৌশিকদার মনের মতো অ্যাক্টিং করা। দ্যাট’স ইট।

এ বার একটা অন্য বিষয়ে যাচ্ছি। জিৎ আর আপনার ঝগড়াটা কি লোকদেখানো?

মানে?

মানে মিডিয়াতে লেখালিখি হয়, টুইটারে আপনাদের ফ্যানেরা মারামারি করে। কিন্তু আপনারা তো দিব্যি পার্টি করেন। যেমন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে করলেন... পুরো ব্যাপারটাই কি ডব্লিউডব্লিউই-এর মতো সাজানো? উনি আপনার বোনের বিয়েতেও এসেছিলেন।

আমার বোনের বিয়েতে তো সবাই ছিল। বাবুল (সুপ্রিয়) ছিল, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ছিলেন, অভীকবাবু (সরকার) ছিলেন।

আমি জিৎ প্রসঙ্গে কথাটা বলেছিলাম...

হ্যাঁ, জিৎ আমার ভাল বন্ধু। পনেরো বছর যে ভাবে নিজেকে ধরে রেখেছে ও, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। কেন ঝামেলা হবে ওর সঙ্গে? ও আলাদা ছবি করে, আমি আলাদা। ওর প্রোডিউসর আলাদা, আমার আলাদা। ঝামেলা কই!

ইন্ডাস্ট্রিতে দুষ্টুলোকেরা এটা বলাবলি করছে, ওঁর অফিস থেকে নাকি আপনার গার্লফ্রেন্ড রুক্মিণীর কাছেও ফোন গিয়েছিল এই বলে যে, ‘‘জিৎ স্যর দেখা করতে চান।’’ এটাও কি ডব্লিউডব্লিউই?
নাকি সত্যি?

সেটা একেবারে একেবারে জিৎ আর ওর অফিসের ব্যাপার যে, ওরা কাকে ফোন করবে। আর রুক্মিণীও ইনডিপেন্ডেন্ট। ওটা আমি ওদের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছি।

জিতের দু’টো সেরা গুণ কী মনে হয় আপনার?

এক, জিৎ সবচেয়ে হ্যান্ডসাম হিরো। এই বয়সেও দারুণ হ্যান্ডসাম। আগে যিশুকে মনে হত আমার। এখন জিৎকে লাগে।

আপনার থেকেও হ্যান্ডসাম?

অফকোর্স। এই বয়সেও কী রেখেছে নিজেকে!

আর দ্বিতীয়?

অসম্ভব ভাল বিজনেসম্যান। আমরা তো ইমোশনালস ফুলস। জিৎ ব্যবসাটা দারুণ বোঝে। দুর্দান্ত বিজনেসম্যান।

একটা ব্যাপার বলুন, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি করার কথা ছিল না আপনার?

ছিল তো। কিন্তু একদিন হঠাৎ কাগজে দেখলাম বুম্বাদা আর ঋতুদির সঙ্গে শিবু ছবি অ্যানাউন্স করেছে। আমাকে এটা অন্তত জানাতে পারত শিবু। তবে শিবু বুদ্ধিমান ছেলে, ওর এটুকু বোঝা উচিত, কারও জন্য কিছু থেমে থাকে না ইন্ডাস্ট্রিতে। আর সাফল্য ধরে রাখাটাই সব থেকে বড় সাফল্য।

এই যে আপনাদের পার্টির লোক শোনা গেল সল্টলেকের পুরসভা ভোটে মিডিয়াকে টার্গেট করেছে। সেটা নিয়ে আপনার কী বক্তব্য।

মিডিয়ার উপর হাত তোলা ঠিক হয়নি। আমাদের বসে কথা বলা উচিত সবার সঙ্গে। আর আমি কিন্তু দিদিকে অনেকের থেকে ভাল চিনি। যতটুকু রাজনীতি বুঝেছি, সব সময় দিদির মুখে শুনেছি কোনও ভায়োলেন্স যেন তৃণমূলের ছেলেরা না করে।

কিন্তু তাও কিছু মানুষ করে ফেলছে। টাইম এসে গেছে এই মানুষগুলোকে সব পার্টি থেকে বের করে দেওয়ার। শুধু টিএমসি কেন, এবিসি, এক্সওয়াইজেড— কোনও পার্টিতেই এদের স্থান হওয়া উচিত নয়। এটার একটা ভাল জিনিস দেখতে পাবেন পরের বিধানসভায়।

কী?

পরের বারে দিদি সাঙ্ঘাতিক পরিবর্তন আনতে চলেছেন বিধানসভার প্রার্থী-তালিকায়। সমাজের বিভিন্ন পেশায় থাকা মানুষ থাকবেন।

এটা কি এই জন্য যে এই মানুষগুলো নিজেরা কৃতী? রাজনীতি থেকে টাকা কামানোটা উদ্দেশ্য নয়? দেবের সংসার তো রাজনীতির টাকায় চলে না!

ঠিক তাই। দিদি দুর্নীতিকে ঘৃণা করেন। দিদি দুর্নীতি হটানোর চেষ্টা করে চলেছেন ক্রমাগত।

পি ৫১ নিয়ে যা হল, তা নিয়ে আপনি কথা বলেছিলেন শ্রীকান্তের সঙ্গে?

না, কথা বলিনি। আমি আমার কাজের বাইরে কোনও কিছু নিয়েই শ্রীকান্তের সঙ্গে কথা বলি না। শ্রীকান্তও তাই।

আচ্ছা, আবার একটু ছবির প্রসঙ্গে ফিরি। শুনছি ‘দঙ্গল’ ছবিতে যিনি আমির খানের মেকআপ করছেন, সেই বিক্রম গায়কোয়াড় ‘ধূমকেতু’র মেকআপ করছেন?

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। একটা ব্যাপার গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাঙালি থাকুক না কেন, ‘ধূমকেতু’র ফার্স্টলুক সবাইকে চমকে দেবে।

আনন্দplus-এ পাব তো দেখতে?

আমার নতুন গাড়ির চাবি আসেনি, আনন্দplus বাড়ি এসে ছবি তুলে গিয়েছিল। আমি বিয়ের কার্ড কোথাও দেখাইনি, আনন্দplus সেটা টুইটারে দিয়ে দিয়েছিল। আমি আমার বোনের বিয়েতে কাউকে ছবি দিইনি। কিন্তু আনন্দplus ঠিক ছবি নিয়ে চলে গেল।

আচ্ছা, ইন্টারভিউয়ের লাস্ট ফেজ । শোনা যাচ্ছে, শুভশ্রীর সঙ্গে ছবি করা নিয়ে রুক্মিণী খুবই ইনসিকিওর্ড?

একদমই নয়।

না হলে আউটডোরে যাচ্ছেন কেন রুক্মিণী?

(হাসি) যে কেউ আউটডোরে যেতে পারে।

শুভশ্রীর বয়ফ্রেন্ডও যেতে পারেন শুনলাম?

ইয়েস, হি ইজ অলসো ওয়েলকাম (হাসি)। যে কেউ আসতে পারেন। আপনিও আসতে পারেন। আর যেহেতু আমি নিজে প্রোডিউসর, এ বার নিজের যাতায়াত আর থাকার খরচ প্লিজ নিজেই দেবেন (হাসি)।

থ্যাঙ্ক ইউ দেব। তা হলে পার্সেন্টেজটা কি ঠিক হল এ বারের ইন্টারভিউতে?

গত বছর রেশিও ছিল ৯০:১০। এ বারে ৭৫ পলিটিক্স। আর ২৫ ফিল্ম হল। পরের বছর দেখবেন আরও বদলে গিয়েছে ইক্যুয়েশনটা।

Exclusive interview dev tollywood abpnewsletters MostReadStories
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy