দিব্যা
প্র: ‘সত্যমেব জয়তে টু’-এর সুবাদে বেশ অনেক বছর পরে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করলেন। অভিনয় কতটা মিস করছিলেন?
উ: প্রথম ছবি ‘অব তুমহারে হওয়ালে ওয়তন সাথিয়োঁ’ যখন করেছিলাম, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। তার পর আমি পরিচালনা শুরু করি। মিউজ়িক ভিডিয়ো নির্দেশনার সঙ্গে ‘ইয়ারিয়াঁ’, ‘সনম রে’-এর মতো ছবি পরিচালনা করি। ইন্ডাস্ট্রিতেই ছিলাম। তাই ‘কামব্যাক’ কথাটায় বিশ্বাস করি না। ক্যামেরার সামনের চেয়েও নেপথ্যে বেশি সময় কাটিয়েছি। নতুন কাজ শিখেছি। পরিবর্তন বলতে এটুকুই বলতে পারি।
প্র: পরিচালনা কতটা মিস করেন এখন?
উ: আমার কাছে অভিনয়ের চেয়ে পরিচালনার কাজটা বেশি কঠিন। কিন্তু যখন ঠিক করলাম এ বার অভিনয় করব, তখন সে ভাবেই নিজেকে তৈরি করেছি।
প্র: এই ছবিতে অভিনয় করার সময়ে পরিচালককে পরামর্শ দিয়েছিলেন?
উ: যখন সেটে অভিনেত্রী হিসেবে যাই, তখন চিন্তাভাবনা অন্য রকম থাকে। ছবির পরিচালক মিলাপ জাভেরির উপরে আমার পুরো ভরসা ছিল। জন আব্রাহামের অ্যাকশন, তাঁর দ্বৈত চরিত্রের পরেও, আমার চরিত্র যে ভাবে লেখা হয়েছিল, তাতে আমি খুশি।
প্র: বিয়ে বা সন্তান হওয়ার পরে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে এখন কাজ পেতে অভিনেত্রীদের আগের চেয়ে কম পরিশ্রম করতে হচ্ছে। আপনিও কি সেটা মানেন?
উ: একদম ঠিক কথা। দীপিকা (পাড়ুকোন) বা অনুষ্কাকে (শর্মা) দেখুন, বিয়ের পরেও কত ভাল ভাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনেত্রীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাথা ঘামান না এখনকার দর্শক। ‘সত্যমেব জয়তে টু’-এর ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পরে আমিও বেশ ভাল ফিডব্যাক পেয়েছিলাম।
প্র: জন আব্রাহামের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কী রকম?
উ: সহ-শিল্পী হিসেবে জন খুব সাহায্য করে। এই ছবির শুট চলাকালীন ওর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
প্র: আপনার স্বামী ভূষণ কুমার কি আপনার অভিনয়ের প্রশংসা করেন?
উ: বাড়িতে কাজ নিয়ে একেবারেই আলোচনা হয় না। তবে আমার ছবি দেখে ওর নিজস্ব মতামত জানায়।
প্র: স্বামী প্রথম সারির প্রযোজক হওয়ায়, কেরিয়ারে বাড়তি সুবিধে পেয়েছেন?
উ: আমাদের হোম প্রোডাকশনে ৪০টি ছবি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমি একটাতেই কাজ করেছি। হয়তো এই ছবি দেখার পরে আমাকে অন্য পরিচালকেরাও কাস্ট করবেন।
প্র: গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ভূষণ। কী বলবেন?
উ: এই তর্ক-বিতর্ক ইন্ডাস্ট্রির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমি এ সব বিষয়ে মাথা ঘামাই না। সত্যিটা কী, জানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy