‘আলোর ঠিকানা’ সিরিয়াল। ছবি: সংগৃহীত।
অভি আর আলোর মধ্যে অবশেষে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। জড়তা অনেকটাই কেটেছে। এরই মধ্যে তাঁদের জীবনে আগমন ঘটেছে নতুন মানুষ দেবরাজের। তাঁর উদ্দেশ্য যে খুব একটা ভাল নয়, সে কথা অনেকটাই আন্দাজ করতে পেরেছে অভি। কিন্তু আলোকে তা বোঝানো কঠিন। ‘সান বাংলা’র সিরিয়াল ‘আলোর ঠিকানা’-এ এমনই গল্প দেখছেন দর্শক। সাজানো-গোছানো সেট, পরিপাটি সাজসজ্জায় অভিনেতাদের দেখে পর্দায় মনে হয় সবটাই ‘পারফেক্ট’। কিন্তু ক্যামেরার সামনে যতই সব কিছু ‘ভাল’ মনে হয়, কাজটা ততটাও সহজ নয়। খাস কলকাতা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ভিতরে স্টুডিয়ো। সেখানেই প্রতি দিন যাতায়াত করতে হয় দেবাদৃতা বসু, জন ভট্টাচার্য, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সিরিয়ালের সকল কলাকুশলীকে। সেখানেই দিনের ১৪ ঘণ্টা কাটে। এত ক্ষণ সময় কাটানোর জন্য অনেক সময়ই সহ-অভিনেতা, অভিনেত্রীরা বন্ধু হয়ে ওঠে। এই সেটেও কি তেমন কোনও বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে? খোঁজ নিতে আনন্দবাজার অনলাইন পৌঁছল ‘আলোর ঠিকানা’র সেটে।
বর্ষার দিন। কখনও রোদ, কখনও আবার বৃষ্টি। তাই ফ্লোর থেকে অভিনেতাদের বাইরে বার হওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। একের পর এক শট চলছিল। সিরিয়ালের এই পর্বের যিনি পরিচালক ছিলেন তিনি বেশ কড়া। তাই ফ্লোরে সবাই নিশ্চুপ। এ প্রসঙ্গে নায়িকা বললেন, “পরিচালকেরা কড়া হলেই ভাল। গোটা সেট বেশ শাসনে থাকে। কাজটাও তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।” সে দিন মূলত শট চলছিল জন এবং দেবাদৃতারই।
জনকে আগে দর্শক দেখেছেন ‘রিমলি’ সিরিয়ালে। মাঝে ‘গোলন্দাজ’ ছবিতেও কাজ করেছিলেন। বেশ কিছু মিউজিক ভিডিয়ো শুটও করেছিলেন তিনি। তবে ‘রিমলি’র জনপ্রিয়তার সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ নায়ক। তিনি বলেন, “কাজ করে যাওয়া আমার দায়িত্ব। নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজ করি। দর্শকের কোনটা পছন্দ হবে, হবে না সেটা তো সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যাপার। সবাই এখানে পেশাদার। কাজ করে যে যার মতো বাড়ি।” তা হলে এই সেটে আড্ডা, খাওয়াদাওয়া কতটা জমে?
এ প্রসঙ্গে দেবাদৃতা বললেন, “না, আমাদের সেটে ততটাও খাওয়াদাওয়া, আড্ডার ব্যাপার নেই। আমরা সবাই কাজে মন দিতে চাই। বাড়ি থেকে আসি শট দিই, কাজ শেষ হলে বাড়ি যাই। পেশাদার মনোভাব নিয়ে কাজ করি। বাড়তি কোনও বন্ধুত্ব, সম্পর্কের জায়গা নেই।” দেবাদৃতাকেও একের পর এক সিরিয়ালে দেখেছেন দর্শক। যদিও তাঁর অভিনীত প্রথম সিরিয়াল ‘জয়ী’ তাঁকে দিয়েছিল চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা। নায়িকাও তাঁর পুরনো কাজ নিয়ে মোটেই ভাবতে চান না। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy