পুটু পিসি ক্ষমা করবে সুকল্যানকে?
আত্মহত্যার অভিনয় করে পুটুপিসিকে ঘর থেকে বার করে এনেছে গুনগুন। মুষড়ে পড়া মুখোপাধ্যায় পরিবারের মুখে ফের হাসি ফুটিয়েছে তাদের ‘মা লক্ষ্মী’। এ বার নতুন মিশন শুরু। পুটু পিসির মান ভাঙিয়ে ফের সুকল্যানের সঙ্গে ছাদনাতলায় নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু পুটু পিসির কাছে এই কথা পারবে কে?
বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার জন্য ‘টিম পটকা’ এগিয়ে দিল গুনগুনকে। ফন্দি-ফিকির আটতে শেষমেশ বাড়ির ছোট বৌয়ের দরজায় কড়া নাড়ল তারা। নাহ, কড়াও নাড়েনি। দলবল মিলে ফলাহার নিয়ে সোজা ঢুকেই পড়ল বাবিন-গুনগুনের ঘরে। পড়া থেকে উঠিয়ে হাইজ্যাক করে নিল টিমের সদস্যকে। গুনগুনই তো একমাত্র পারে অসাধ্য সাধন করতে!
যেমন বলা, তেমন কাজ। মুহূর্তের মধ্যেই মুশকিল আসান করার উপায় ভেবে ফেলল সে। পুটু পিসিকে বলল, সুকল্যানের নাকি ধূম জ্বর। খুব শরীর খারাপ তার। প্রথমে বিশ্বাস না করলেও, অসুস্থতার কথা শুনে একটু নরম হয় পুটু পিসি। ব্যস! সেই সুযোগেই ছক্কা গুনগুনের। অন্য দিকে, সুকল্যানকে ফোন করেও পিসি শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করার উপদেশ দিয়ে দেয় সে। দীর্ঘ মন কষাকষির পর অবশেষে দেখা হবে পুটু পিসি অর্থাৎ মেঘমালা এবং সুকল্যানের। নেটমাধ্যমে ‘খড়কুটো’র ফ্যানপেজ বলছে এক রেস্তরাঁয় দেখা করবে তারা। আর তাদের উপর নজর রাখতে হাজির হবে পটকা এবং তার দলবল। কিন্তু এমনি নয়, ছদ্মবেশে। এমনকি এ বার ‘ক্রেজি’ বাবিনও যোগ দিয়েছে খুনসুটিতে।
পটকার চোখের চশমা, মাথায় টুপি। গুনগুন নিজেকে ঢেকে নিয়েছে বোরখাতে। মিষ্টি বৌদি অবাঙালি আদলে শাড়ি পরে মুখ লুকিয়েছে ঘোমটায়। ঋজু দক্ষিণ ভারতীয় সাজে পৌঁছেছে গোয়েন্দাগিরি করতে। অন্য দিকে, গেরুয়া বসনে লম্বা দাড়িতে জামাই রুপাঞ্জন এক্কেবারে সাধুবাবা। ছদ্মবেশ নিয়েছে বিজ্ঞানী মহাশয়ও। স্যুট পরে, চোখে রোদ চশমা আর টুপি পরে বৌয়ের দুষ্টুমিতে সামিল হয়েছে সে।
কিন্তু অবশেষে অভিমানের বরফ গলবে? পুটু পিসি ক্ষমা করবে সুকল্যানকে? আপাতত সেটা দেখতেই মুখিয়ে রয়েছেন ‘খড়কুটো’ অনুরাগীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy