গত কয়েক বছরে হলিউডে বেড়েছে ভারতীয় নায়িকাদের আনাগোনা। ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন থেকে আলিয়া ভট্ট— নামের তালিকা নেহাত ছোট নয়। সব থেকে বেশি কাজ করছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। কারণ তিনি সংসার পেতেছেন হলিউডে। এখন বরং তাঁকে বলিউডেই আর দেখা যায় না। কান চলচ্চিত্রোৎসব বা মেট গালার লাল গালিচায় একের পর এক ভারতীয় তারকা চমকে দেন তাঁদের পোশাকে। শাহরুখ খানের জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা ফুটে ওঠে বুর্জ খলিফার গায়ে।
কিন্তু সত্যিই কি ভারতীয় তারকারা আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠতে পেরেছেন? নাকি গাত্রবর্ণের রাজনীতি, শ্বেতচর্মের উন্নাসিকতায় শেষ পর্যন্ত ‘জাতে’ উঠতেই পারেননি ভারতীয় অভিনেতারা? এই বিতর্ক উস্কে উঠেছে এইচবিও চ্যানেলের ‘হ্যারি পটার’ সিরিজ়কে কেন্দ্র করে। জেকে রাওলিংয়ের লেখা এই কাহিনিতে রয়েছে পার্বতী পাতিলের চরিত্রটি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত পার্বতী রাওলিংয়ের যাদু দুনিয়ায় খুব কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত সোমবার ঘোষণা হয়েছে, এই চরিত্রে অভিনয় করবে ইতালিয় অভিনেত্রী অ্যালেসিয়া লিওনি। আর তার পরেই রাওলিংয়ের ভারতীয় ভক্তরা যেন হতাশায় ভুগছেন। সমাজমাধ্যমে পড়ছে সেই ছায়া। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ভারতীয় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বেছে নেওয়া হল একজন ইউরোপিয় অভিনেত্রীকেই। সাযুজ্য রাখতে তাঁর বাদামি গায়ের রংকে প্রাধান্য দেওয়া হল। তবু কোনও ভারতীয় অভিনেত্রীকে সুযোগ দেওয়া হল না।
এর আগে কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা পাপা এসিডুকে নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। জানা গিয়েছিল সেভেরাস স্নাপির মতো এক শ্বেতাঙ্গ চরিত্রে বাছা হয়েছে তাঁকে। ছবিতে এ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অ্যালান রিকম্যান। অন্য দিকে, ‘হ্যারি পটার’ সিরিজ়ের ছবিগুলিতে বড় পর্দায় পার্বতী ও তার বোন পদ্মার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেত্রী শেফালি চৌধুরী এবং আফশান আজ়াদকে। স্থানীয় স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল এই দুই কিশোরীকে।