গরিমা, আরণ্যক এবং রোশনাই— তিন জনের জীবনকে কেন্দ্র করে গল্প বুনছেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। ‘রোশনাই’ ধারাবাহিক নিয়ে অনেক আলোচনাই দেখা যায় সমাজমাধ্যমের পাতায়। সম্প্রতি একটি রিল ভিডিয়ো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক তরুণীর একটি চোখ কালো হয়ে গিয়েছে। তরুণীর দাবি, মা তাকে মেরেছে। কারণ, তিনি বলেছিল ‘রোশনাই’ ধারাবাহিকের খলচরিত্র গরিমাই আদতে ন্যায্য কথা বলছে। শুধু এই রিল ভিডিয়ো নয়, দর্শকের একাংশের মতে রোশনাই নয় গরিমাই ঠিক। গরিমার সঙ্গে যা যা ঘটছে তা যদি বাস্তবে কারও সঙ্গে এমন ঘটত, তা হলে কি কোনও মেয়ে মেনে নিতে পারত?
অন্য সব ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে যেমন নায়িকাদের প্রতি দর্শকের বিশেষ আবেগ জড়িয়ে থাকে। ‘রোশনাই’-এর ক্ষেত্রে যেন তার খানিকটা ঘাটতি রয়েছে। দিদির সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় হয়ে এসেছিল রোশনাই। তার পর দিদিই খল প্রতিপন্ন হয়ে গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কী বলছেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আনন্দবাজার ডট কমকে তিনি বলেন, “আমার খল চরিত্রেরা তথাকথিত আর পাঁচটি খলচরিত্রের মতো হয় না। তাদের মধ্যে অনেক নানা স্তর থাকে। আমিও চাই শুধু নায়িকা বা নায়ক নয়, খলচরিত্রদের নিয়ে দর্শক ভাবুক।” ভাল-মন্দে মিশিয়ে মানুষ। কারও চরিত্রের সবটাই সাদা বা কারও চরিত্রের সবটাই কালো হয় বলে মনে করেন না লীনা। তাই লেখিকা তাঁর চরিত্রদের বাস্তবতার মিশেলেই সাজান। তিনি বললেন, “যদি দর্শক খলচরিত্রের প্রতি এ ভাবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, তা হলে আমার এই চরিত্র লেখা সার্থক, এটুকুই বলতে পারি।”
এই ধারাবাহিকে তিয়াসা লেপচা, শন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লেখা চট্টোপাধ্যায়কে দর্শক দেখছেন। অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তীই গল্পের আসল খলনায়িকা। তিনিই পিছন থেকে কলকাঠি নেড়ে চলেছেন। নতুন মোড়ের অপেক্ষায় দর্শক।