ভারতীয় সেলেব্রিটিদের অন্যতম প্রিয় ভ্রমণস্থল মলদ্বীপ। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু চিনের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। ফলে তিনি তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উদ্বেগ বেড়েছে ভারতের। অন্যদিকে, চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও বেড়েছে মলদ্বীপের। মাঝে ভারতের সঙ্গে এই দ্বীপরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ টলোমলো হয়ে পড়ে। গত বছর লক্ষদ্বীপে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সফর নিয়ে সমাজমাধ্যমে মলদ্বীপের দুই মন্ত্রী মোদীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে পোস্টগুলি মুছে দেওয়া হয়। মলদ্বীপ সরকারও ওই মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করে। মাঝে কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন বন্ধ ছিল। এখন ফের ভারতের শরণাপন্ন হলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের পর্যটক টানতে নিজেদের দেশের পর্যটনের প্রচার দূত করা হল ক্যাটরিনা কইফকে।
আরও পড়ুন:
বিয়ের পর থেকে ক্যাটরিনা সব থেকে বেশি বার সে দেশে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন মলদ্বীপে। নিজের জন্মদিন হোক কিংবা ভিকির জন্মদিন কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটানোর জন্য মলদ্বীপই প্রিয় ভ্রমণস্থল অভিনেত্রীর। গত বছর অক্টোবরে ভারত সফরেও এসেছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন মুইজ্জু। তখনই মোদীকে ফের মলদ্বীপ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। আগামী জুলাইয়ে মোদী যাচ্ছেন সে দেশে। তার আগেই ক্যাটরিনাকে নিজের দেশের ‘প্রচার দূত’ হিসেবে নিয়োগ করার মধ্যে বিশেষ তাৎপর্য লক্ষ্য করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, ক্যাটরিনার বেড়ানোর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা মলদ্বীপ। আর মলদ্বীপেরও জাতীয় আয়ের বড় অংশ আসে পর্যটন থেকে। অথচ, গত বছর মোদীর নামে সে দেশের দুই মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ক্ষুব্ধ হন ভারতের সেলেব্রিটিরা। তার জেরে মলদ্বীপের পর্যটনে বড়সড় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই কি ক্যাটরিনাকে বেছে নেওয়া হল?