Advertisement
E-Paper

সিনেমার মাধ্যমেই ভারত-পাক সম্পর্কের সেতু গড়তে চান হর্ষ নারায়ণ

ভারত-পাক রাজনৈতিক শীতলতার মধ্যেই দু’দেশের মধ্যে ভালবাসার ফুল ফোটাতে চান তিনি। তাঁর নতুন ছবি ‘ইয়ে রাস্তে হ্যায় প্যায়ার কে’ দিয়েই এই কাজ করতে চান পরিচালক হর্ষ নারায়ণ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৬ ১১:৩০
ফিল্মমেকার হর্ষ নারায়ণ।

ফিল্মমেকার হর্ষ নারায়ণ।

ভারত-পাক রাজনৈতিক শীতলতার মধ্যেই দু’দেশের মধ্যে ভালবাসার ফুল ফোটাতে চান তিনি। তাঁর নতুন ছবি ‘ইয়ে রাস্তে হ্যায় প্যায়ার কে’ দিয়েই এই কাজ করতে চান পরিচালক হর্ষ নারায়ণ। রাজনৈতিক চোখরাঙানির জেরে দেশীয় প্রযোজকদের একাংশ যখন পাক শিল্পীদের নিয়ে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই সময় ভারত-পাক যৌথ উদ্যোগে ফিল্ম তৈরির চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

গত সেপ্টেম্বরে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় ঘটেছে একের পর এক জঙ্গি হামলা। ভূস্বর্গ উত্তপ্ত বারুদের গন্ধে। দু’দেশের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। কিন্তু, এই ধূসর সময়েও আশার আলো দেখছেন হর্ষ। নিজের ফিল্ম দিয়েই সে আলো জ্বালাতে চান তিনি। মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, পড়শি দেশের সঙ্গে এক দিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হবেই।

‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এ পাক শিল্পীরা অভিনয় করায় রাজনৈতিক রক্তচক্ষুর মুখে পড়েছেন বলিউডের হেভিওয়েট পরিচালক কর্ণ জোহর। শেষমেশ মুচলেকা দিয়ে সে ছবি মুক্তির ব্যবস্থা করতে হয়েছে তাঁকে। ভারতীয় প্রযোজকদের একাংশও নিজেদের ফিল্মে পাক শিল্পীদের নিয়ে কাজ করায় বেঁকে বসেছেন। তা সত্ত্বেও হর্ষ তাঁর ফিল্মে দু’দেশের শিল্পী-কলাকুশলীদের নিয়েই কাজ করতে চান। ফিল্মের নায়ক হিসেবে ইতিমধ্যেই ফাওয়াদ খানের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তবে হর্ষ জানিয়েছেন, এখনও ‘ইয়ে রাস্তে... ’-র জন্য নায়িকার খোঁজ চলছে। শোনা যাচ্ছে, বলিউডের থেকেই কোনও পরিচিত মুখকেই নায়িকা বাছতে চলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন...
মুম্বইয়ে এটিএম-এর লাইনে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’!

শ্যাম বেনেগাল ও মহেশ ভট্টের মতো পরিচালকদের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা হর্ষ জানিয়েছেন, ‘ইয়ে রাস্তে... ’ সীমান্তের দু’পারের দু’জন সুরকারের কাহিনি। গত পাঁচ বছর ধরে চিত্রনাট্য তৈরির কাজ করে চলেছেন তিনি। সেই চিত্রনাট্যে উঠে এসেছে সীমান্তের দু’পারের মানুষজনের ইচ্ছা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, হতাশা, প্রেম এবং জীবনের কাহিনিও।

কিন্তু, দু’দেশের এই জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে কোন ভরসায় এ ধরনের ফিল্ম করার মতো সাহসী পদক্ষেপ করতে চান তিনি? হর্ষের মতে, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কড়া ভাষায় নিন্দা করা উচিত। তবে এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক যে শিল্পীদের জাতীয়তার উপর ভিত্তি করে তাঁদের কাজের সমালোচনা করা হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে ফিল্ম। আর ফিল্মমেকার হিসেবে আমি এই মাধ্যম দিয়েই সেই সেতুর কাজটা করতে চাই।”

Harsh Narayan Indo-Pak Relation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy