(বাঁ দিকে) ধর্মেন্দ্র। হেমা মালিনী (ডান দিকে) । ছবি : সংগৃহীত।
১৯৮০ সালে বিয়ে হয় ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনীর। যখন হেমার সঙ্গে বিয়ে হয়, সেই সময় প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহিত অভিনেতা। সেই সময় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনত বিচ্ছেদ না করেই হেমাকে বিয়ে করেন অভিনেতা। তাঁদের সম্পর্ক মানতে চাননি হেমা মালিনীর পরিবার। ঠিক একই ভাবে আপত্তি জানান অভিনেতার প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানরা। কিন্তু সময় যে বহতা। তার নিয়মে বদল হয় পরিস্থিতির। অভিনেতার প্রথম পক্ষের পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক হয় সম্পর্ক, তবু হেমা মালিনীর সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকা হয়নি। বিয়ে, সন্তান হলেও সংসার করা হয়নি।
এই মুহূর্তে প্রথম পক্ষের স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গেই থাকেন অভিনেতা। ১৮ জুন সানি দেওলের ছেলে কর্ণ দেওলের বিয়েতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই আসেন। আশীর্বাদ দেন নবদম্পতিকে। তা হলে হেমা কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী স্বীকার করে নেন, তিনি ও ধর্মেন্দ্র এক ছাদের তলায় থাকেন না। ধর্মেন্দ্র থাকেন অন্য বাড়িতে, তিনি থাকেন নিজের বাড়িতে। তাঁদের আলাদা থাকার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘কেউ কি চায় এমন কিছু? এটা আসলে ঘটে যায়। এবং তা মেনে নিতেও হয়। সব নারীই চায় যে আর পাঁচটা স্বাভাবিক পরিবারের মতো তারও স্বামী, সন্তান হোক। কিন্তু সব সময় সেটা সম্ভব হয় না।’’
তাই বলে অভিনেতার উপর হেমার কোনও ক্ষোভ রয়েছে, এমনটা নয়। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমার কোনও খারাপ অনুভূতি নেই। এটা নিয়ে কোনও খারাপ লাগা বা দুঃখ প্রকাশও করছি না। আমি নিজে খুশি রয়েছি। আমার দুই সন্তান আছে, আমি ওদের খুব ভাল করে মানুষ করেছি। সব সময় উনি (ধর্মেন্দ্র) আমার সঙ্গেই ছিলেন। সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত থাকতেন। দুই মেয়ের বিয়ে তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত, সে কথা বলতেন। আমি সব সময় আশ্বস্ত করতাম, যখন ঠিক সময় আসবে, তখন হবে।’’ হেমা মালিনী তাঁর আত্মজীবনীতে লেখেন, ‘‘আমি কাউকে বিরক্ত করতে চাইনি। ধরমজি আমার মেয়েদের জন্য যা করেছেন, তাতে আমি খুশি। এক জন ভাল বাবার যা করা উচিত, তিনি সেই সব দায়িত্ব পালন করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy