২৪ নভেম্বর প্রয়াত হন ধর্মেন্দ্র। তার পর থেকেই নাকি দেওল পরিবারের অন্দরের সংঘাত স্পষ্ট হয়েছে। মুম্বইয়ে প্রথম স্ত্রীর পরে দিল্লিতে অভিনেতার জন্য স্মরণসভায় আয়োজন করেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী, অভিনেত্রী হেমা মালিনী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা-মন্ত্রীরা। সেখানেই ধর্মেন্দ্রের অপূর্ণ ইচ্ছার কথা জানালেন হেমা।
আরও পড়ুন:
ধর্মেন্দ্রের স্মরণসভায় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি হেমা। ছলছল চোখে বলেন, ‘‘আমাকে কোনও দিন ধরমজির জন্য স্মরণসভার আয়োজন করতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। গোটা পৃথিবী শোকার্ত, কিন্তু আমার কাছে বিষয়টা ভীষণ আকস্মিক।’’ এ দিনের স্মরণসভায় তাঁর ও ধর্মেন্দ্রের ভালবাসার কথাও তুলে ধরেন হেমা। তিনি স্বীকার করে নেন, তাঁরা কখনও কাউকে ভয় পাননি। কারণ, তাঁদের ভালবাসা ছিল খাঁটি। সেই কারণেই বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। শেষে হেমা বলেন, ‘‘আমি সারা জীবন এই একজন পুরুষের কাছেই সমর্পিত ছিলাম।’’
পাশপাশি অভিনেত্রীর আক্ষেপ, ধর্মেন্দ্রের কবিতার বইটা মুক্তি পেল না। হেমা মালিনী জানান, ধর্মেন্দ্র উর্দু শায়েরি বলতেন একেবারে পরিস্থিতি ও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। হেমা বলেন, ‘‘উনি যে কোনও মুহূর্তের গুরুত্ব বুঝে শায়েরি বলতে পারতেন। এটা একটা দারুণ গুণ ছিল ওঁর। আমি বার বার ওঁর কবিতার বই প্রকাশ করতে বলেছিলাম। শুধু তা-ই নয়, উনি ভীষণ আগ্রহীও ছিলেন বইপ্রকাশ নিয়ে। কিন্তু সেই কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। বইটা প্রকাশ করার আগে এখনও অনেক কাজ বাকি।’’