ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন ইলন মাস্ক! সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন আমেরিকান অভিনেত্রী আইয়ো এডেবরি। অভিনেত্রীর দাবি, এক্স হ্যান্ডলে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে তাঁর জীবনে বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছেন এক্স-এর মালিক মাস্ক। এমনকি, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এক্স হ্যান্ডলে এক দক্ষিণপন্থী সংগঠনের তরফে অসমর্থিত সূত্রের খবর ভাগ করে নেওয়া হয়। সেখানে দাবি করা হয়, ‘পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়িতে নতুন করে আসতে চলেছেন অভিনেত্রী আইয়ো এডেবরি। শুধু তা-ই নয়, জনি ডেপের পরিবর্তে তাঁকে নেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়। ইলন মাস্ক এই বার্তা ভাগ করে নেন নিজের হ্যান্ডলে। অবমাননাকর মতও প্রকাশ করেন (লেখেন ‘ডিজ়নি সাকস’)। তার পরই বিতর্কের সূত্রপাত।
আরও পড়ুন:
আইয়ো নিজেও মাস্কের এক্স-বার্তা ভাগ করে নেন। সরাসরি মাস্ককে ‘মূর্খ’ ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে দাবি করেন। আইয়ো লেখেন, “এই লোকটির জন্য আমি প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছি, বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য শুনেছি। একটি ছবির ভুয়ো খবরের জন্য, যে ছবির কথা আমি শুনিনি পর্যন্ত। আমার কোনও সন্দেহ নেই এই মানুষটি ফ্যাসিস্ট, মূর্খ। যাই হোক...” এই প্রসঙ্গে আইয়ো উল্লেখ করেছেন নাজ়ি বাহিনীর স্লোগান ‘সে হেলিং’-এরও।
‘দ্য পাইরেটস অফ দি ক্যারেবিয়ান’ সিরিজ়ের পাঁচটি ছবি ইতিমধ্যেই দর্শকের মনোরঞ্জন করেছে। সব ক’টি ছবিতেই ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারোর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে জনি ডেপকে। ব্যপক জনপ্রিয় সে সব ছবি। পরবর্তী কালে আরও একটি ছবি তৈরির কথা ছিল। কিন্তু জনির বিরুদ্ধে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে সে ছবির কাজ এগোয়নি। ওই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির প্রযোজক জেরি ব্রাকেমার এর আগেই জানিয়েছেন, ষষ্ঠ ছবিটির কথা তাঁরা ভাবছেন। এর বাইরে আর কোনও কথা তিনি জানাননি। বিশ্বস্ত সূত্রে সেই ছবির কলাকুশলীদের সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে এর আগেও ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় নির্বাচন এবং আমেরিকার নির্বাচনের সময় এমন অভিযোগ বহু বার উঠেছে।