‘রঘু ডাকাত’ নাকি তাঁকে বিস্ময়ের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে? বিশেষ করে, বাংলার আনাচেকানাচে প্রচারের জন্য পৌঁছে গিয়ে দারুণ খুশি সোহিনী সরকার। খুশি দেবের বিপরীতে জোরালো চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে। কিন্তু তাঁর অন্যতম প্রিয় এবং হিট নায়ক যে ‘রঘু ডাকাত’-এর চরম শত্রু! এটা দেখে কতটা বিস্ময়ে হাবুডুবু খেয়েছেন তিনি?
একই ছবিতে তিনি আর অনির্বাণ ভট্টাচার্য রয়েছেন। অথচ, সেই রসায়ন নেই! তিনি ছবিতে জবরদস্ত খলনায়ক। রবিবার সোহিনীর মুখোমুখি হয়ে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার ডট কম। জবাব দিয়ে গিয়ে সোহিনীর রসিক মন এবং বুদ্ধিমত্তা বরাবরের মতোই ঝলসে উঠেছে। তিনি বলেছেন, “আমরা ছায়াজগতের মানুষ। অভিনয় আমাদের পেশা। এই পেশায় আজ যিনি আমার হিট নায়ক কাল তিনিই হয়তো বাবা বা ছেলের চরিত্রে অভিনয় করবেন। আমরা জানি সেটা। ফলে, এই নিয়ে আমাদের আলাদা কোনও অনুভূতি কাজ করে না।” এটা যতটা অনির্বাণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ঠিক ততটাই আবীর চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও।
এই প্রথম দেবের নায়িকা তিনি। তাঁর সঙ্গে ছবির প্রচারে ‘বেঙ্গল ট্যুর’-এ যোগ দিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গ তুলতেই ছেলেমানুষের মতো উচ্ছ্বল সোহিনী। “কী যে মজা করেছি! সারাক্ষণ যেন পিকনিকের মেজাজে। হাসি-ঠাট্টা, গান, হুল্লোড়। আমি তো মঞ্চে দেবের সহকারীর কাজটাও করে দিয়েছি”, বলেই হাসি তাঁর। এই প্রজন্মও দেবের জন্য উন্মুখ। সেটা বুঝতে পেরে তিনি নিজে দেবকে ভক্তদের কাছে পাঠিয়েছেন! কিছু বলতে অনুরোধ জানিয়েছেন। নানা ঘটনা, নানা জায়গা, বিভিন্ন রকমের মানুষের মাঝে পড়ে নায়িকা যেন বিস্ময়ে হাবুডুবু খেয়েছেন। “ছোট থেকে আমি হা-করা মেয়ে। মা বলে বিস্ময় বালিকা। প্রচারে পদে পদে যেন বিস্ময় অপেক্ষা করেছে আমার জন্য।”
দেবের নায়িকা তিনি। প্রথম বার একসঙ্গে পর্দাভাগ করবেন, এই ঘটনা কি তাঁকে আরও বেশি বিস্মিত করেছিল?
একটু ভেবে সোহিনীর জবাব, “দেবের সঙ্গে কাজ অবশ্যই উপরিপাওনা। পাশাপাশি, আমার চরিত্রও জোরালো হওয়া চাই। সেটা কিন্তু আমি দেখে নিয়েছি।” এই প্রসঙ্গে নিজের অভিনীত চরিত্র ‘গুঞ্জা’ সম্বন্ধেও জানিয়েছেন। তাঁর মতে, প্রচার-ঝলকে স্পষ্ট তিনি উপজাতি শ্রেণির মেয়ে। তাঁর সাজগোজ, ভাষায়, উচ্চারণে সেই ছোঁয়া। “আমার একটা সংলাপ আছে, ‘এসেছি ভালবাসতে আর মরে যেতে’। এই সংলাপ বলে দেয়, ‘গুঞ্জা’ খুবই সরল মেয়ে।”
সোহিনীর সঙ্গে কি ‘গুঞ্জা’র মিল রয়েছে? প্রশ্ন শুনে গজদন্তে ঝিলিক তুলে হাসলেন। পাল্টা প্রশ্ন করলেন, “আপনি কি আমায় জটিল বললেন?” রসিকতা সামলে বললেন, “প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই জটিলতা থাকে। আমার মধ্যেও আছে। আর ‘গুঞ্জা’র সারল্য আছে কি না সেটা আমার থেকেও অন্যরা বেশি ভাল বলতে পারবেন।”