কত বয়স হল টোটা রায়চৌধুরীর? অভিনেতা সত্যি জবাব দিলেও চেহারা সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলে! বুধবার অভিনেতার জন্মদিন। সকাল থেকেই ব্যস্ত তিনি। না, শুটিং বা ডাবিংয়ে নয়। এ দিন অভিনেতা পরিবারের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। প্রতি বছরের নিয়ম, তিনি এ দিন সকালে পৌঁছে যান দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। মা ভবতারিণীর পুজো দেন। আশীর্বাদ নেন ঈশ্বরের। আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করতেই টোটার গলায় আন্তরিকতার সুর। বললেন, “কাজ তো সারা বছর আছে। বছরের একটা দিন আয়েশ করে পরিবারের সকলের সঙ্গে কাটানোর দিন।”
সারা বছর যিনি খাওয়াদাওয়ায় প্রবল সংযমী, এ দিন সে ক্ষেত্রেও অভিনেতা ছাড় দেন। “অনেক বছর ভরপেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। ২২ বছরের খিদে কি আর এখন থাকে?” হাসতে হাসতে দাবি তাঁর। টোটার ভাষায়, মোটা হওয়ার যাবতীয় খাবার সে দিন তিনি খান। যেমন, মায়ের হাতের পায়েস, মাংস, মিষ্টি, কেক— এ দিন তাঁর পাতে থাকে। সন্ধ্যায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে তিনি বড় কোনও হোটেলে নৈশভোজ সারেন। আর নতুন জামা? প্রশ্ন শুনে ফের হাসি। অভিনেতার দাবি, “নতুন না হলেও একটু অন্য ধরনের পোশাক পরার চেষ্টা করি।” তার পরে যোগ করলেন, “এখন কি আর সেই বয়স আছে?” বলিউড থেকেও প্রথম সারির অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকের শুভেচ্ছাবার্তা ভেসে আসে তাঁর কাছে। “কিছু সহকর্মী ভালবাসেন। তাঁরা ভীষণ আন্তরিক। আমার বিশেষ দিনগুলো মনে রাখেন। শুভেচ্ছা জানান। ভাল লাগে।”
আরও পড়ুন:
উইকিপিডিয়া বলছে, সময় থেমে নেই। টোটা আরও পরিণত। তা হলে কি চুলে রুপোলি রেখার সংখ্যা বাড়ল? টোটার মেয়েও সাবালিকা। তিনিও কি বাবাকে ডেকে বয়সের সংখ্যা মনে করিয়ে দেন? তখনই অভিনেতা ফাঁস করলেন তাঁর বয়স ধরে রাখার গোপন রহস্য। “জীবন থেকে বেশি প্রত্যাশা করি না। অল্পে সন্তুষ্ট। কারও প্রতি কোনও ঈর্ষা নেই। যা পাচ্ছি, যেটুকু পাচ্ছি তাতেই খুশি।” তার জন্যই তাঁর চোখেমুখে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়েনি এখনও। চুলেও রুপোলি রেখার সংখ্যা অন্যের থেকে অনেক কম।
ছায়াছবিতে বাস্তব অনেক সময়েই ছায়া ফেলে। কর্ণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’র মতোই টোটারও এক মেয়ে, মৃগাক্ষী। নির্দিষ্ট বয়সে, নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর জন্য পাত্র খুঁজতে হবে অভিনেতা বাবাকে। মৃগাক্ষীর বিয়ে, সংসারের ভাবনায় কি রাতের ঘুম ওড়ে তাঁর? “কেন ঘুম উড়বে! আমার মেয়ে প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত। ওকে নিয়ে তাই কোনও ভাবনাই নেই।” তার পরেই ফের রসিকতা, “মেয়ের বিয়ের এখনও অনেক দেরি। আমার ততটাও বয়স হয়নি।”