পুজোর চারটে দিন খুব যে আলাদা কাটে তা কিন্তু নয়। বরং আমার পুজো একটু একঘেয়ে। ঠাকুর দেখতে বেরোই না, হুল্লোড়েও মাতি না। বাকি দিনগুলোর মতোই দিন কেটে যায়। আমি আদ্যন্ত পারিবারিক। বাড়ির সকলের সঙ্গে সময় কাটাতে ভাল লাগে। পুজোতেও এর ব্যতিক্রম হয় না। ফলে, বেশির ভাগ সময় কেটে যায় বাড়িতে। আমাদের পুরনো বন্ধুদের একটা ‘গ্রুপ’ আছে। একদিন যদি বেরোই, সেটা হয়তো বন্ধুদের সঙ্গে। বাইরে বেরোই না। ফলে, পোশাক নিয়েও ততটা মাথা ঘামাই না। তবে বাঙালির পুজো। আমিও বাঙালি। পোশাকে বাঙালিয়ানা তো থাকবেই।
এটা অষ্টমীর সাজ? ছবি: ফেসবুক।
আমাদের মতো অভিনেতাদের কাছে পুজোয় ছবিমুক্তি বেশি আনন্দের। গত বছর মুক্তি পেয়েছিল ‘বহুরূপী’। তার আগের বছর ‘রক্তবীজ’। আমি সাধারণত ছবির প্রচারে অন্যদের তুলনায় কম থাকি। পুজোর ছবিও দেখি না। এ বছর আমাদের ‘রক্তবীজ ২’-এর সঙ্গে মুক্তি পাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবী চৌধুরাণী’, দেবের ‘রঘু ডাকাত’ এবং আমার আর একটি ছবি ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’। প্রত্যেককে আমার তরফ থেকে আগাম শুভেচ্ছা। নিশ্চয়ই প্রত্যেকটি ছবি দর্শক হল ভরিয়ে দেখবেন।
ঢাকের তালে আবীর দুলবেন? ছবি: ফেসবুক।
অনেকে এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন, এ বারের পুজো কি আবীর বনাম বুম্বাদা বা দেব কিংবা অঙ্কুশ হতে চলেছে? আমি কিন্তু এরকম কিছু ভাবছি না। আর অঙ্কুশ ‘রক্তবীজ ২’-তে দাপুটে খলনায়ক ‘মুনির আলম’। তাই যত যুদ্ধ ওর সঙ্গে পর্দায়, বাস্তবে আমাদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই।
সারাবছর যেমন তেমন। উৎসবের চারটে দিন নিখুঁত হতে কার না মন চায়! পুজোর আগে অনেকে প্রশ্ন করেন, আপনার মতো সুঠাম, মেদহীন চেহারা পুজোয় কী করে পাব?
দশমীতে শ্বেতশুভ্র আবীর চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
সবার আগে একটা কথা বলি। দেখুন, পুজোর আর মাত্র ৪০ দিন বাকি। আমার মতো চেহারা পেতে গেলে সারাবছর পরিশ্রম করতে হবে। শরীরচর্চায় সময় দিতে হবে। নিয়ম মেনে পরিমিত খাবার খেতে হবে। কয়েকটি দিন সেই নিয়ম মানলে কি সুঠাম চেহারা পাওয়া সম্ভব? তবে হ্যাঁ, কয়েক দিন নিয়ম মানলে চেহারার সাময়িক জৌলুস হয়তো আসতেও পারে।