বছরের শুরুতেই সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় শিউরে উঠেছিল বি-টাউন। রক্তাক্ত ও ছুরিকাহত অবস্থায় হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন বলি তারকা। সঙ্গে ছিল সইফের একরত্তি পুত্র তৈমুর আলি খান। সেই সময়ে বাবার সঙ্গে থাকতে না পারায় আক্ষেপ হয় জ্যেষ্ঠ পুত্র ইব্রাহিমের। তবে খবর পেয়ে ছুটে যেতে দেরি করেননি তিনি। ঘটনার পরে বাবার সঙ্গে প্রথম কী কথা হয়েছিল, তা জানালেন ইব্রাহিম।
ইব্রাহিম তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেন, “সেই রাতে আমি শুটিং করছিলাম। আর ও দিকে রাত আড়াইটে নাগাদ বাবার উপরে হামলা হয়। আমি খবর পাই ভোর সাড়ে পাঁচটায়। সেই রাতে আর ঘুম হয়নি। ছুটে গিয়েছিলাম খবর পেতেই।”
সইফ অস্ত্রোপচার সেরে এসে আইসিউতে আসার পরে প্রথম তাঁর সঙ্গে দেখা হয় ইব্রাহিমের। তিনি বলেছেন, “আমার সঙ্গে দেখা হল। দেখলাম বাবা চোখ খুলল। সারার সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা বলল। তার পর আমার কথা জিজ্ঞাসা করল। আমি যে কী স্বস্তি পেয়েছিলাম।” ইব্রাহিমকে দেখেই সইফ বলেছিলেন, “তুমি ওখানে থাকলে, ওই লোকটাকে পিটুনি দিতে।” এই শুনেই ইব্রাহিমের মনে হয়েছিল, সত্যিই যদি সেই রাতে তিনি বাবার পাশে থাকতে পারতেন।
এর পরেই ইব্রাহিম স্পষ্ট বলেন, “অনেকেই বলেছিলেন, আমি নাকি গাড়ি চালিয়ে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সঙ্গে ছিল আমার ছোট ভাই তৈমুর। কিন্তু সত্যিটা হল আমার বাবা নিজেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন ওঁর পিঠে ছুরি গাঁথা ছিল।”