সন্ত্রাসবাদ ও সাধারণ মানুষ। পরিচালক রাজকুমার গুপ্তর পছন্দের বিষয়। প্রথম ছবি ‘আমির’ দিয়ে দর্শকের মধ্যে তাঁর ছবি নিয়ে আগ্রহ তৈরি করেছিলেন। ‘ইন্ডিয়াস মোস্ট ওয়ান্টেড’-এর লড়াইও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। মোড়কটা আলাদা। তবে উদ্দেশ্য ভাল হলেও, থ্রিলারে টানটান উত্তেজনা তৈরি করতে পারলেন না পরিচালক। তৈরি করল না ছবির চিত্রনাট্য, সংলাপ বা অভিনয়।
দেশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা সন্ত্রাসবাদী ইউসুফ একটার পর একটা হামলা করতে সফল। অথচ দেশের উচ্চবর্গের দফতর বলছে, সে পাকিস্তান বা দুবাইয়ে। আইবি দফতরের নিচু তলার অফিসার প্রভাত কপূরের (অর্জুন কপূর) কাছে খবর আসে, ইউসুফ নেপালে থাকলেও থাকতে পারে। ওই তথ্যকে সম্বল করেই প্রভাত ও তার চার সহকর্মী নিজেদের ফান্ডিংয়ে বেরিয়ে পড়ে অভিযানে।
বাস্তব ঘটনার আধারেই চিত্রনাট্য সাজানো। নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে সুপারস্টার শাহরুখ খানকে আটক করে জেরার সত্যি ঘটনা চিত্রনাট্যে স্মার্ট ভাবে বোনা হয়েছে। তবে গল্পের চলন সরলরৈখিক। প্লটে আরও কিছু টুইস্ট যোগ করার দরকার ছিল। দৃশ্য তৈরি হওয়ার আগেই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের ঝঙ্কার মুহূর্তগুলিকে ভেস্তে দেয়। হয়তো দৃশ্যের খামতিকে সঙ্গীত দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করেছেন নির্মাতারা। সংলাপেও কোনও নতুনত্ব নেই। বরং দেশপ্রেমে ডোবানো গদগদ ডায়লগ বিরক্তির উদ্রেক করে।
ইন্ডিয়াস মোস্ট ওয়ান্টেড
পরিচালনা: রাজকুমার গুপ্ত
অভিনয়: অর্জুন কপূর,
রাজেশ শর্মা, সুদেব নায়ার
৫/১০
সন্ত্রাসবাদীর লুকোনোর ডেরা হিসেবে নেপাল হিন্দি ছবিতে তুলনামূলক নতুন। দেশটাকে বিভিন্ন ক্যানভাসে সুন্দর ভাবে দেখানো হয়েছে। ‘উরি’, ‘রাজ়ি’র মতো এখানেও পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টকে বোকা প্রতিপন্ন করা হয়েছে। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।
অর্জুন কপূর চেষ্টা করেছেন। তবে তাঁর চরিত্রে ওঠা-পড়া নেই। অভিনয়ও তাই আলাদা করে ছাপ ফেলে না। বরং অর্জুনের সহকর্মীর চরিত্রে অনামী মুখেরা অনেক বেশি সপ্রতিভ। রাজেশ শর্মা ও শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়কে ভাল লাগল।
শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য এই থ্রিলারের চুম্বক একটাই, ইউসুফের মুখ। গোটা ছবিতে তার পুরনো ছবি ও চোখ দুটোকে এত বার দেখানো হয়েছে যে, আসল মানুষটাকে দেখার কৌতূহল বাড়তে থাকে। তবে দেখাই সার! সন্ত্রাসবাদীর সংলাপ শুনলে সব আশা অচিরেই লোপ পায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy