সিরিয়ালে তাঁর চরিত্র স্পেশাল, জানালেন ইন্দ্রাণী।—নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: বিয়ের পর প্রথম অনস্ক্রিন দম্পতি রণবীর-দীপিকা, কোন ছবিতে?
প্রযোজক, কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় যোগ করলেন, “বেশির ভাগ মা এমন ভাবে জীবন কাটান যে তাঁদের স্বপ্নগুলো পূরণ হয় না, আলোতে আসে না। মনে হয়েছিল, কমিউনিকেট করা দরকার কোথাও, একটা মানুষেরও যদি পজিটিভ সেন্সে মোটিভেশন হয় তো আমার ভাল লাগবে। দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র মেয়েরাই ডিপ্রেসড কন্ডিশনে আছে এটা বলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। সেখান থেকে একটা মেয়ে ফাইট ব্যাকও করবে। তার যোগ্যতা অনুযায়ী করবে, সে হঠাৎ এক দিনে মারাত্মক কিছু হয়ে যাচ্ছে না। যে যে রকম অবস্থানে আছে সে রকম অবস্থানে থেকেই সে তার লড়াই করবে। আসলে সব মেয়েরই তো কিছু না কিছু পোটেনশিয়াল থাকে। সেটা কখনও এক্সপ্লোর করা হয় না। তো শ্রীময়ী এটা এক্সপ্লোর করবে ফাইন্যালি। ভেতরের যে শক্তি প্রত্যেক মেয়ের মধ্যে থাকে সেই শক্তিটাকে কোথাও একটা এক্সপ্লোর করার চেষ্টা ‘শ্রীময়ী’...এটুকুই বলব। শ্রীময়ীকে দেখে দর্শকদের মধ্যে যদি এক জনেরও...যাদের অনেক স্বপ্ন ছিল, হারিয়ে গেছে...তাঁরা যদি এক জনও সেই স্বপ্ন ফিরে পান তা হলে আই উইল বি গ্রেটফুল।”
শ্রীময়ী কি আপনার কাছে স্পেশাল? কেন? ইন্দ্রাণী শেয়ার করলেন, “অবশ্যই। শ্রীময়ী রিয়েল কাইন্ড অব ক্যারেক্টার। আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে শ্রীময়ী আছে। সে জন্য খুব স্পেশাল। শ্রীময়ী শুধু গল্প নয়, জীবনের কথা। আমি তো সবসময় স্ট্রং চরিত্র করেছি, যাদের কনফিডেন্স আছে। এই চরিত্র কিন্তু ইনকনফিডেন্ট। চরিত্রটা করতে ভীষণ ভাল লাগছে, ভয়ও লাগছে যে দর্শক আমায় নেবেন কি না।”
শ্রীময়ীর জার্নি ঠিক কী রকম? লীনা বুঝিয়ে দিলেন, “শ্রীময়ী এক জন ঘরোয়া মেয়ে, বিএ পরীক্ষা ফাইনালি দিতে পারেনি, বিয়ে হয়ে যায়...যে রকম অনেক মেয়েরই হয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি আসে। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তার ডিফারেন্স আছে, অর্থনৈতিক ভাবে বাপেরবাড়ি পিছিয়ে। যার ফলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ডমিনেট করে। শ্রীময়ীকে কেউ পাত্তা দেয় না। ছেলেমেয়েরাও মাকে টেকেন ফর গ্রান্টেড ভাবে। খুব কমন ছবি আর কি। শ্রীময়ীরও কিছু করতে ইচ্ছে করে। ছেলেমেয়ের মুখে হাসি ফোটানোর কথা মনে হয় তার। সে মনে করে তা হলে ছেলেমেয়ে খুশি হবে। মেয়ের স্কুলে কোনও প্রোগ্রাম হলে মাকে নিয়ে যেতে লজ্জা পায় মেয়ে। মেয়ে মনে করে, মা স্কুলে গিয়ে কথা বলতে পারবে না, মা তো ইংরেজিও বলতে পারে না। তো এ রকম ছোট ছোট চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে শ্রীময়ীর জার্নি এগোবে।”
আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো খবর’-এর বিরুদ্ধে তোপ হৃতিক রোশনের দিদি সুনয়নার
সারা পৃথিবীতেই অডিও ভিজুয়াল ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যামেরার সামনে ও পিছনে মেয়েদের সংখ্যা কম। তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। ইন্দ্রাণীর অভিমত, “এ বিষয়ে টেলিভিশন কিন্তু অনেকটা এগিয়ে। আমি টেলিভিশনে তিরিশ বছর কাজ করছি, যবে থেকে টেলি সোপ শুরু হয়েছে তবে থেকেই কাজ করছি। আমি যতগুলো টেলি সোপ করেছি...‘তিথির অতিথি’, ‘কুয়াশা যখন’, ‘বহ্নিশিখা’...এখন ‘সীমারেখা’, ‘গোয়েন্দা গিন্নি’, ‘শ্রীময়ী’...সব কটাই কিন্তু নারীকেন্দ্রিক। সব কটাই নারী স্বাধীনতা বা নারীদের অস্তিত্ব সৃষ্টির গল্প। টেলিভিশন সব সময় নারীকে সাপোর্ট করে কাজ করে। পুরুষকেন্দ্রিক টেলিভিশন প্রোডাকশন খুব একটা হিট হয় বলে দেখা যায় না। তার সবচেয়ে বড় কারণ টেলি দর্শকদের বড় অংশই মেয়েরা। মেয়েরা মেয়েদের গল্পের মধ্যে নিজেদের আইডেন্টিফাই করে। ‘শ্রীময়ী’র মধ্যেও এই দর্শক নিজেদের আইডেন্টিফাই করবেন।”
এই ধারাবাহিকে ঊষসী চক্রবর্তীর ভূমিকা কী? ঊষসী ভাঙতে চাইলেন না। শুধু বললেন, “সিরিয়ালের প্রোমোতে আমার চরিত্রটা দেখা গেছে। ভেরি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যারেক্টার...এ রকম একটা বলা যেতে পারে।” তাঁর চরিত্র প্রসঙ্গে লীনা বললেন, “ও এখানে পারিবারিক বন্ধু। এই চরিত্রর স্টোরি লাইন আপ এখনই বলতে চাইছি না।”
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।